ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধ🌜লেশ্বরী টোলপ্লাজায় ঘাতক বাসের চাপায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে থাকা ৬ যাত্রী নিহতের ঘটনার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর চালকসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক চালকের নাম মোহাম্মদ নুরুদ্দিন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক অপর ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দ✃ুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি একেএম আখতারুজ্জামান বসুনিয়া। যদিও ভয়ঙ্কর সেই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করা হয়নি। এমনকি বাসটির অতি দ্রুত এসে চাপা দেওয়ার পেছনে কী কারণ কাজ করছে, ঘটনা সত্যিই দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর এখনও মেলেনি।
একেএম আখতারুজ্জামান বসুনিয়া প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তিনি বলেন, “আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কার⛎ণ থাকলে তা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
এদিকে, দুর্ঘটনায় জড়িত বাসের চালক সম্পর্কে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্💟মকার সাংবাদিকদের বলেন, “আটক হওয়া চালক গত ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যান চালিয়ে আসছিলেন। তবে বছর দুয়েক ধরে তার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই।”
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক আরও জানান, আটক বাসচালক দ🐠াবি করেছেন, বাসটি চালানোর সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। এমনকি চালক ঘটনার সময় ধূমপানও করছিলেন না। চালক আরও দাবি করেছেন, তিনি বাসটি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্রেক কাজ করছিল না। তবে জিজ্ঞাসাবাদে চালক স্বীকার করেছেন তিনি অতীতে নেশা ও মাদক গ্রহণ করতেন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঘটানো বাসটি তাদের থানায় জব্দ আছে। ঘটনাটি কেন ঘটেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ🐼। 𝕴নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি 📖বাস। এতে প্রাইভেট কারে থা⛦কা একই পরিবারের চারজন ও মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক ন💟ুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের 🔴ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
সেই ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোট💛রসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।
দুর্ঘটনার ভিডিও
টোল প্লাজার সিসিটিভিতে দুর্ঘটনার ভিডিওটি ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, টোল প্লাজার মাওয়ামুখী লেনে একটি মোটরসাইকেল টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। এর পেছনে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয় আরও একটি প্রাইভেট কার। অল্প কিছুক্ষণ পরেই বেপরোয়া গতিতে বেপারী পরিবহনের বাস দ্রুত টোল প্লাজার দিকে আসতে থাকে।&nbs༺p;
টোল প্লাজার সামনে এলে বাসের গতি আরও বেড়ে যায়। এ সময় বাসটি প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলকে দুমড়েমুচড়ে টোল প্লাজার বাইরে ন�🌳�িয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যান।