মাঠজুড়ে উৎসুক জনতার ভীর। ডাক বাজছে, তালে তালে বাজছে সানাই আর কাশি। এরইমাঝে লালসালু আর মুখে মুখোশ পড়ে নেচে আনন্দ দিচ্ছেন মাঠে আসা দর্শনার্থীদের। আর এভাবেই দিনা꧙জপুরে অনুষ্ঠিত হ💜য়েছে ঐতিহ্যবাহী গমিরা উৎসব।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের পারদিঘন এলাকায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর বাংলা বর্ষপꦡুঞ্জির বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার এই উৎসব অনুষ্ঠিত 👍হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী শিতলা ও ব🌠ুড়ির পূজা করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ সনাতনী গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা মানত অনুযায়ী নিয়ে আসা প্রাণীদের দেবতার নামে উৎসর্গ করেন। এরপর পরিবেশন করা হয় মোখা নৃত্য।
উৎসবে আসা সীমা রানী রায় বলেন, “পাশের দেবীপুর গ্রামে আমার🦹 বাড়ি। একটা বিপদে🌠 পড়ছিলাম। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাকে (দেবী) বলেছিলাম ‘যদি বিপদ থেকে উদ্ধার হই তবে মাকে পাঠা (ছাগল) দেব।’ আমি বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছি। তাই আজকে মানত অনুযায়ী দিয়েছি।”
স্থানীয় ষাটোর্ধ বয়সী বিরেন রায় বলেন, “এই উৎসব কবে থেকে হচ্ছে জানি না। বাবা, দাদুরা এই উৎসব করতে করতে চলে গেলেন। আমারও সময় হয়ে আসতেছে। যতদিন এই গ্রাম আছে ততদিন এই উৎসব হবে। অনেক আনন্দ হয় এই উ♚ৎসবে।”
পা𒆙রদিঘন বুড়ি শীতলা পূজা কমিটির আয়োজনে দীর্ঘ দিন ধরে এই উৎসব হয়ে আসছে। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরুন চন্দ্র রায় বলেন, “এই পূজায় আনুমানিক খরচ ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মত। এটা এলাকাবাসীর অনুদানে হয়। অনেক মানুষ আসে। দুর্গা পূজার থেকেও বেশি আনন্দ হয়।”
