• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৩, ১১:১৫ এএম
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর

উজানের ঢল ও ভারী বর্ﷺষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তার বাম তীরে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির চাপে ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রꦍকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়া🐈র সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমে একই পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্🃏পতিবার (১৪ জুলাই) স✨ন্ধ্যা ৬টায় একই পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে।

মূলত ဣবুধবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে শুধু তিস্তার বাম তীরে পাটগ্রামের আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার ১৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি তিস্তার পানিতে ড🍨ুবে গেছে। চর এলাকাগুলোর যোগাযো꧑গ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে।

এছাড়া ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলা নদী শিমুবাড়িয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে 🌜বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরব🍃র্তী এলাকা।

পানিতে ডুবেছে চরাঞ্চলের বাড়িঘর ও রাস্তা ঘাট। চরা๊ঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ🎀ে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈই🌳লমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পুরো জেলায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি💛 হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত, রাস্তাঘাট ও পুকুর। পশুপাখি নিয়ে বন্যার্তরা উঁচু স্থানে অবস্থান নিচ্ছে। অনেকেই উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সাড়ছেন।

নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন বানভাসি মানুষ। ঘরের ভেতর হাঁটু পানি। অনেকে খাটের ꧂ওপর চুলা তু♐লে রান্নার  কাজ সারছেন।

তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাত থেকে তিসཧ্তার পানি মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার (১৫ জুলাই) বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাউবো সূত্র জানায়, পানির অস্বাভাবিক বৃদ্🌱ধিতে তিস্তাপাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই𝓀 ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন। প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কী পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।

পানিবন্দি পরিবার অভিযোগ করেন, তারা দুই দিন ধরে পানিবন🙈্দি অবস্থায় রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে শুকনো ꦇখাবার বা কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। কেউ তাদের খোঁজ পর্যন্ত করেনি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, “তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট 𝔍খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দুই 𓆉দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি। জেলায় দুর্যোগকালীন ৪৫০ মেট্টিক টন চাল ও সাত লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং🅷 পিআইওর মাধ্যমে ১১০ মেট্টিক টন চাল বিতরণ চলছে।”

Link copied!