টানা গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৭১ মিলিমিটার। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে ꧋বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রা🌳ত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ ম🧜িলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
টানা বৃষ্টির কারণে বুধবার সকাল থেকে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় যেতে বিড়ম্বনার ♓মধ্যে পড়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সড়কে নেমেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক ও হকারদের সড়কে দেখা গেছে।
অটোরিকশাচালক মজিবুর রহমান বলেন, “গত দুদিনের বৃষ্টিতে♛ বাসা থেকে বের হতে পারিনি। মঙ্গলবার বিকেলে একবার বের হয়েছিলাম, সড়কে যাত্রী নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে বি🎐পাকে আছি।”
ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, “আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পানি🀅তে ডুবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে।”
এদিকে, বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ꦚভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সড়𒊎ক, মাছের ঘের ও বসবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভারপ্ꦰরাপ্ত চেয়ারম্যান আল-আমিন জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। বেড়িবাঁধের পানি না কমায় মাছের ঘেরগুলো নিয়ে খামারিরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। পানিবন্দি লোকজনও পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্𒉰টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে বিপৎসীমꦿা অতিক্রম করেনি। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা ছিল ৩.৭ মিলিমিটার এবং ভাটার সময় ছিল ৩.৬ মিলিমিটার।