মায়ের বাধা উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন আবু সাঈদ। ৪ আগস্ট (রোববার) দুপুরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের ছোড়া গুলি এসে বিদ্ধ হয় আব🐓ু সাঈদের ডান পায়ে।
ঠাকুরগাঁও সদ﷽র উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জুলফিকার আলী ও ব𝓰িলকিস বানু দম্পতির একমাত্র ছেলে আবু সাঈদ।
আবু সাঈদের বন্ধু নজরুল বলেন, “গুলি লাগার পর 🍬তাকে দিনাজপুরে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সাঈদ এখনো পা ফেলতে প💮ারছে না। তার পায়ে অনেকগুলো ছিটা গুলি আছে। সেগুলো থাকায় হাটতে পারতেছে না। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।”
সাঈদের ফুপু বলেন, “সাঈদ তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। হাটতে না পারলে তার পরিবারের দায়িত্ব কীভাবে নেবে সে। পড়ালেখা করতেছে সাঈদ এখনꦚ হাটতে পারছে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তার ভালো চিকিৎসা প্রয়োজন।”
একমাত্র ছেলের এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই আবু সাঈদের মা বিলকিস বানুর। তিনি বলেন, “আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমাদের। এখন তার পায়ের এꦕমন অবস্থায় আমাদের পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছি। ছেলের পা যেন দ্রুত ঠিক হয় সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।”
আবু সাঈদ বলেন, “সকাল থেকে ভালোভাবেই আন্দোলন চলছিল। দুপুরের পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। আমাকে শহরের চৌরাস্তায় কাছ থেকে প🧜ুলিশ গুলি করে। পরে আমি পড়ে গেলে আশেপাশের কয়েকজন ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক বলে সমস্যা নেই। পরে বাসায় চলে আসি। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলে দিনাজপুরে গিয়ে ৮টি ছিটা বুলেট বের করে। এখনো অনেক বুলেট আছে। বুলেট থাকায় পা মাটিতে ফেলতে পারছি না। বাকি বুলেট বের করার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য রংপুর বা ঢাকা যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পায়ের ব্যাথার কারণে যত কষ্ট পাচ্ছি, তার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছি আমার শহীদ ভাইদের জন্য। তারপরও স্বাধীনতা পেয়েছি সেজন্য 🐷অনেক ভালো লাগছে।”