নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মু𝓀ক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে তৃতীয় জানাজা শেষে সাহেব 🌃বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে🍰 সমাহিত করা হয়।
এর আগে বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত☂ হয়। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশে▨র একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শনিবার দুপুরের দিকে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়꧂। সেখানে জেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন।👍 এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশꦛ করেছেন নোয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম, জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব, ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া রব, কবি ফরহাদ মাজহার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা জাসদের আহ্বায়ক আমির হোসেন বিএসসি, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর রহমান চেয়ারম্যান, ইকবাল হোসেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী সি-জোন কমান্ডার মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ।
শুক্রবার (৯ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টඣে তা♐র মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন▨। ১৯৭২ সালে তার উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত🍒 হয়।