• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে, মোংলাবাসীর দুয়ারে হুইসেল দিয়ে আসবে ট্রেন


এমএম ফিরোজ, মোংলা
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে, মোংলাবাসীর দুয়ারে হুইসেল দিয়ে আসবে ট্রেন

খুলনা-মোংলা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছেജ আগামী ১ জুন। এ দিন বেলা ১১টায় ‘বেতনা এক্সপ্রেস’ ফুলতলা হয়ে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এই ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পর রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা।

২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর আগে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে 🎶ট্রেন চ💯ালানো হয়।

স্থায়ী জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে জানান খুলনা মোংলা বন্দর রেলল🌸াইন প্রক😼ল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম।

জানা গেছে, খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রে📖ন। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে। তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি ‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে।

নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেনই আপাতত চলাচল করবে। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। খুলনা থেকে ভোর সোয়া ৬টায় ছেড়ে বেনাপোলে পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এরপর বেনাপোল থেকে ছেড়ে ফুলতলা হয়ে মোংলা পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ 💝মিনিটে।

ফুলতলা থেকে যাওয়ার প𒆙থে মোংলা কমিউটার মোহ🐼াম্মদনগর, কাটাখালী ও চুলকাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে। মোংলা থেকে দুপুর ১টায় ট্রেনটি ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছবে সাড়ে ৪টায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১০ সালে। এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা♓য় অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি তিনটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ রেললাইন নির্মাণ, প্যাকেজ-২ রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু ও প্যাকেজ-৩ টেলিযোগাযোগ ও সিগন্যালিং সিস্টেম।

এসব প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহꦯ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬.৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪.৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫.১৩ কিলোমিটার রেলসেতু।

জমি অধিগ্রহণ, রেললাই𒆙ন, রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১,৭২১ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালে আবারও সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ানো হয়। তখন ব্যয় দাঁড়ায় ৪,২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত মোংলা খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার 🌳দক্ষিণে 🌼পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু ꦦহলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত সময়ে ও কম খরচে মালামাল নিতে পারবেন। গতিশীল হবে মোংলার সঙ্গে যাতায়াত সুবিধা।

Link copied!