• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আড়াই বছরে ৮ দফা অস্ত্রোপচার শেষে বাড়ি ফিরেছে দুই শিশু


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
আড়াই বছরে ৮ দফা অস্ত্রোপচার শেষে বাড়ি ফিরেছে দুই শিশু

প্রায় আড়াই বছর পর হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে ফিরেছে ক𒅌ুড়িগ্রামের আলোচিত কোমর ও মেরুদণ্ডে জোড়া থাকা শিশু নুহা ও নাভা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব 🔜মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ দফা অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার পর বাড়িতে ফিরে আসে তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামে ꦑবাড়ি রানা-নাসরিন দম্পতির। আলমগীর হোসেন রানা এক🐽জন পরিবহন শ্রমিক ছিলেন। স্ত্রী নাসরিন বেগম ২০২১ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রামের একটি বেসকারি ক্লিনিকে জোড়া লাগানো দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। 

মেরুদণ্ড জ🥂োড়া লাগানো যমজ দুই কন্যাকে পেয়ে আনন্দের বদলে বিষাদ ভরে যায় এই দম্পতির মন। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করার জন্য যেতে পারছিলেন না কোন♊ো হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে।

এ অবস্থায় ওই বছরের ৪ এপ্রিল সিভিল সার্জন অফিসᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤💙⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় শিশু দুটোকে।

এই জোড়া শিশুদের পৃথক করাসহ চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর 🌼কার্যালয়। সেখানকার চিকিৎসক ও নিউরোসার্জন ডা. মোহাম্মদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে ৮ দফা অস্ত্রোপচারের পর গত বছর জানুয়ারি মাসে পৃথক করা হয় শিশু দুটিকে। দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানে যা মাইলফলক হয়ে যায়। এর পর থেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাদের।

অবশেষে সফল অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা শেষে গত সোমবার রাতে হাসপাতাল ত্যাগ করে জোড়া শিশু নুহা ও নাভাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন তারা। তাদের এই অকল্পনীয় পৃথক চিকিৎসা নিয়ে স্বস্তি ও🤪 আনন্দে প্রতিবেশী, স্বজনসহ আলমগীর নাসরিন𝕴 দম্পতির মাঝে।

স্থানীয় আমির হোসেন বলেন, আমার এলাকার জন্ম নেয় জোড়া লাগানো এক শিশু। পরে তাদের ঢাকায় চিকিৎসা কর🙈ে আলাদা আলাদা করা হয়েছে। তাদের দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। বাচ্চা দুইটা ভালোই আছে। শুনলাম তাদের নাকি পুরোপুরি চিকিৎসা এখনো শেষ হয় নাই। তারা তো গরিব আমরা সবাই যদি তাদের পাশে দাঁড়াই তাহলে হয়তো ভালোভাবে চিকিৎসা শেষ হতে পারে তাদের।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা বলেন, আল্লাহর রহমতে চিকিৎসার মাধ্যমে তারা আজ আলাদা আলাদা জীবন পেয়েছে। আমরা এতে খুব খুশি। তাদের কন্যাসন্তানের মুখ দেখলে মনটা ভরে যায়। আরও তাদের অপারেশনের দরকার আছে। আর তো তাদের এতো টাকা পয়সা নাই। এবারের চিকিৎসার জন্য যদি কোনো দানশীল মানুষ তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো ভালোভাবে চি꧙কিৎসাটা শেষ করতে পারবে।

শিশু নুহা ও নাবার বাবা আলমগীর হোসেন রানা বলেন, নুহা-নাভা কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করার পর থেকে কোমর ও মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো থাকে। পরের দিন আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখানকার ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল না হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে꧑ নিয়ে যেতে বলে। পরে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো🦩সার্জন ডা. মোহাম্মদ হোসেন স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেন।

তিনি বলেন, “স্যার আমার বাচ𓃲্চা দুইটার জন্য অনেক কিছু করেছে। স্যার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। আমরা প্রায় ৩২ মাস হাসপাতালে থাকি। বাড়ির জমি বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা খরচ করি। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যয় করে ৩৫ লাখ ও এক দানশীল ব্যক্তি ১৫ লাখ টাকা দেন। এখনো তাদের আরও একটি করে অপারেশন বাকি আছে। ৪-৫ মাস পর সেই অপারেশন করতে হবে। এছাড়াও তাদের পিছনে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা খরচ ল✅াগে। মেয়েদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তো আমারও মোটর শ্রমিকের চাকরিটা চলে গেছে। এখন অবস্থা খুব খারাপ। কিভাবে বাকি চিকিৎসাটা করাব সেই চিন্তায় বাঁচি না।”

আলমগীর হোসেন রানা আরও বলেন, “সরকার পতনের পর প্রধান উপদেষ্টা, বাকি চিকিৎসার জন্য বিএনপির মহাসচিব ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ♍আমীরের কাছে আবেদন করেছি। এখনো কারও কোনো অনুদান পাইনি। অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় আমার মেয়ে দুইটা সুস্থ হয়েছে। নতুন জীবন পাইছে। তারা যেন বড় হয়ে মানুষের সেবায় কাজ করতে পারেন এই প্রত্যাশা আমার।”

Link copied!