নওগাঁয় শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়েছে। সিট না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা পেতেছেন শিশুদের অভিভাবকরা। বুধবার (২৯ জুন) বিকালে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়া রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই𝔉 শিশু।
জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য সিট রয়েছে ১২টি। সেখানে দেড়গুণের বে🌞শি রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হ⛄িমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালের তত্𓆉ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুলের পরাম𓆏র্শ, ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের বাসি ও পচা খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি তাদের বিশুদ্ধ পানি পান করানো এবং সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জেলা🌱র নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুর ইউনি💯য়ন গুজিশহর এলাকার করিম বলেন, “দুদিন আগে সন্তানের পাতলা পায়খানা শুরু হয়।”
স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজ হয়নি, অবশেষে সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। একইꦫꩲ কথা বলেছেন মান্দা উপজেলার রহিদুল।
গত কয়েক দিনের গরমে রহিদুলের মেয়ের বমি ও পাতলা পায়খান♓া দেখা দেয়। মঙ্গলব🌜ার রাতে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
রহিদুল ব🌱লেন, “শিশু ওয়🃏ার্ডে রোগীর এতটাই চাপ যে, সিট নাই।”
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মৌসুমি বলেন, “হঠাৎ করে রো൩গীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের বেডে জায়গা হচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।”
মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে, এতে কষ্ট পাচ্ছে অভিভাবকꦰ এবং শিশুরা বলে মন্ত𝄹ব্য করেন তিনি।
মৌসুমি আরও বলেনᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ, “চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো আমরাও হাঁপিয়ে উঠেছি।”
নওগꦆাঁ মেডিকেল কলেজ সহকারী অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, “ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে শিশুদের প্রতি ব🍌িশেষ যত্ন নিতে হবে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
জাহিদ ন♕জরুল ইসলাম বলেন, “ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আ💮রও বলেন, “আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ পুরুষ, ১৭ নারী ও ৩৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।”
আগের চেয়ে শিশু রোগীর স✃ংখ্যা বেড়েছে 🅺বলেও জানান এ কর্মকর্তা।