• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জোয়ারে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি!


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২, ০৫:০২ পিএম
জোয়ারে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি!

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর সৃষ্ট অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে উপকূল সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে।🐼 গত কয়েক দিনের জোয়ারের পানির চাইতে শনিবারের (১৩ ♈আগস্ট) জোয়ারের পানির উচ্চতা ছিল অনেক বেশি।  

স্থা♈নীয়রা জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন ফুটের বেশিᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পানি উপকূলে ঢুকে পড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের পুকুর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। ফলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা। আর নদীতে তীব্র ঢেউয়ের ধাক্কায় উপকূল জুড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।  

উপকূলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হঠাৎ পানি চলে আসায় ব্যাহত হয়েছে শি🐷ক্ষার্থীদের পাঠদান। কোমর সমান পানি মাড়িয়ে ও সাঁতরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ꧟ফিরতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

অপরদিকে মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারে ডুবে গেছে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের ফেরি ও লঞ্চঘাট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। 𓄧পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে গত কয়েকদিন থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ফেরিঘাটের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যায়। রাস্তায় পানি থাকায় ফেরিতে যানবাহন ওঠা-নামা করতে পারে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিতে যানবাহন আটকে ✅থাকে। শনিবার অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি পানি প্রবাহ হয়।

স্থানীয়রা জানায়, মেঘনা নদীর উপকূলীয় জেলার কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার সময় মেঘনার সৃষ্ট জোয়ারের পানি অতি সহজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এছাড়া সদরের চররমনী মোহন এবং রায়পুরের দক্ষিণ চরবং✅শী ও উত্তর চর বংশী এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে।  

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আলী হাসান গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, “জ꧂োয়ারের পানির তোড়ে আমাদের এলাকার মনপুরা ব্রিজ-চেয়ারম্যান বাড়ি সড়ক ভেঙে গেছে। এতে ভ🍸াঙা রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত পানি ঢুকে পুকুর তলিয়ে গেছে। এলাকায় আনোয়ার হোসেন, রৌশন আলীসহ বেশ কয়েকজনের পুকুরের মাছ বের হয়ে গেছে।”

একই এলা♎কার লেদু মিয়া জানান, জোয়ারের পানি তার পুকুরে ঢুকে সব মাছ বের হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খো🌊ঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারে কমলনগরের চরমার্টিন, চরকালকিনি, চরফলকন, পাটারিরহাট, সদরের চররমনী মোহন, রায়পুরে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও রামগতির চরআবদুল্লাহসহ প্রায় ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে কমলনগর উপজেলার চরফ♐লকন ইউনিয়নের লুধুয়া বাগারহাট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ফলকন উচ্চ বিদ্যা💃লয়। জোয়ারের কারণে ছুটি পেয়ে কোমর সমান পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আবার অনেকে সাঁতরে বাড়ি ফিরেছে। এ ছাড়া আশপাশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত চারদিনের জোয়ারে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের তীব্র 🌊স্রোতে ও ভাটার টানে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতে চরম বিপর্যয়ে পড়তে হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না সড়কের জন্য।

সদর উপজেলা থেকে 𒉰রামগতি উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নেই। গেল একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ৩ হাজার ১০০ ღকোটি টাকা বরাদ্দ দেন। জানুয়ারিতে কাজ শুরু হলেও এখনো দৃশ্যমান নয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার কাজ রেখে পালিয়েছেন। ঠিকাদারদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জড়িত। শুধুমাত্র বালু সংকট দেখিয়ে তারা কাজ করছে না। তাদের কারণে প্রতিদিন কেউ না কেউ নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন। চাঁদপুরে বালু পাওয়া না গেলে অন্য জায়গা থেকে আনা🎶র ব্যবস্থাও তারা করেন না। উপকূলীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে রেখে তারা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, “স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনায় প্রায় তিন ফুট পানি বেড়ে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এতে বাঁꩲধ নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ💖ছাড়া বালু সংকটও রয়েছে।”

Link copied!