শীত যত বাড়ছে খেজুর রসের চাহিদা ততই বাড়ছে। গ্রামীণ জনপদের ঘ🤡রে ঘরে এই রস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা ও পায়েস। জয়পুরহাটে তীব্র শীত উপেক্ষা করে রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা। এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। এই গুড় সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। তবে শুধু রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গাছিরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে খেজুর গাছের উপরিভাগের অংশে সুন্দর করে বাটাল ও ধারালো ছুরি দিয়ে কেটেম তা থেকে রস সংগ্রহ করা হেচ্ছ। কেউ রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। আবা🌠র কেউ কাঁচা রস বাজারে বিক্রি করেন। খেজুর গাছের র🧸স নিতে ভোর থেকেই অনেকে অপেক্ষা করতে থাকেন।
গাছিরা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুর গাছের রস সংগ্রহꦑ করা হয়। এ রস থেকে বিভিন্ন ধরনের পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। কাঁচা রস ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তৈরিকৃত গুড় প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালাই উপজেলার গাছি আশরাফ হোসেন বলেন, “শীত মৌস🅷ুমের শুরুতেই আমরা খেজুর গাছের রস সংগ্রহের কাজ করে থাকি। প্রতি বছরে শীত মৌসুমেই কয়েক মাস আমরা খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে থাকি।”
একই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ঝওামুটপুর গ্রামের গাছি জাবেদ শেখ বলেন, “এ বছর ৫০টি গাছ রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করেছি। শীত শুরুর আগেই আমরা নিজের ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকার পরিবারের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে খেজুরের গাছ লিজ নিয়ে থাকি। এবারও নিয়েছি। প্রতি কেজি রস ৩০ টাকা দরে বিক্রি করি। ইতোমধ্♔যে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির কাজও শুরু করেছি।”
এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার ওউচিত তাল গাছের মতো বেশি করে খেজুরের গাছ লাগানো এবং যত্ন সহকারে বড় করা। খꦬেজুরের রসের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।