• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অর্থ আত্মসাত মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ০৩:৫৯ পিএম
অর্থ আত্মসাত মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান
আবু ইউছুফ ছৈয়াল

লক্ষ্ম♊ীপুরে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় চেয়⛦ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আꦚরেফিন এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না জানান, বাদী ইউনুছ হাওলাদার রূপম অভিযুক্ত ইউছুফ ছৈয়ালের কাছে ৩২ লাখ টাকা পান। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেনি। সোমবার আদালতে হাজিরা ছিল। বাജদীর টাকা না দেওয়ায় আদালত ইউছুফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ইউছুফ ছৈয়াল সদর উপজেলার চররমনী মোღহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাদী রূপম হাওলাদার সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে রূপম হাওলাদার মেঘনা নদীর মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট ইজারার জন্য ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। ঘাটটি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের চররমনী মোহন ইউনিয়নে। এতে তিনি রূপমের সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করবেন ও তার নামেই ঘাট ইজারা নেওয়ার অনুরোধ করেন। রূপম তাতে রাজি হন। তখন চেয়ারম্যানকে ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার ও আরও ১০ লাখ টাকা দেন রূপম। এতে তারা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ঘাটটি ইজারা পান। কিন্তু কাগজপত্রে ইউছুফ ছৈয়ালের পরিবর্তে তার ভাতিজা বাবুল ছৈয়ালের নাম দেখা 🥀যায়। কারণ জানতে চাইলে ইউছুফ ছৈয়াল তখন রূপমকে জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে নিজ নামে তিনি ইজারা নিতে পারবেন না। এর কিছুদিন পরে রূপমের অংশীদারিত্বের কথা তিন🥀ি অস্বীকার করেন। টাকা চাইলেও দেবেন না বলে জানান। এতে বাধ্য হয়ে রূপম লক্ষ্মীপুর আদালতে ইউছুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ টাকা পাওনা উল্লেখ করে মামলা করেন।

ঘটনাটি মীমাংসার জন্য একাধিকবার ইউছুফ ছৈয়াল ও রূপম সদর মডেল থানায় লোকজন নিয়ে বৈঠকে বসেন। বারবারই তিনি টাকা দেবেন বলে জানান। সর্বশেষ গত ইউপি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আদালতে মামলাটির হাজিরা ছিল। তখন বৈঠকের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি মীমাংসার কথা বললে জামিন পান। কিন্তু এরপরও তিনি💫 টাকা ফেরত দেননি। আদালতে রূপম ৩২ লাখ টাকা পাওনা বলে প্রমাণিত হয়। ওই টাকা না দেওয়ায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

Link copied!