• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঈদে মুখরিত শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্র


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
ঈদে মুখরিত শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্র

ঈদের ছুটিতে প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর উপজে🍌লার বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পর্যটনকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন।

স্থানীয়রা জা♔নান, পর্যটনকেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে সুন্দর পরিবেশে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থไা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

শেরপুর শহরে কর্মরত একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক সজীব আনসারী বলেন, পর্যটকদের খুব সহজেই আ🐠কৃষ্ট করে ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র, নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক, পানিহাতা তাড়ানি ও শ্রীবরদীর র꧑াজার পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে অপরূপ রূপের চাদর মোড়ানো পাহাড়। ছোট-বড় ও মাঝারি টিলা, সমতলভূমির সেগুনবাগান আর লতাপাতার সবুজের সমারোহ প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে দোলা দিয়ে যায়। এছাড়া জেলা সদরের শ্যামলী শিশু পার্ক, দারোগ আলী পৌর শিশুপার্ক, গোল্ডেন ভ্যালি পার্ক এবং অর্কিড দর্শনার্থীদের কোলাহলে পরিপূর্ণ থাকে।

কবি ও ছাড়াকার সজল আশরাফ বলেন, “গারো পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপূর্ব লীলাভূমি। ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গজনী অবকাশ পর্যটনকেন্দ্র। সেখানে রয়েছে সারি সারি শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা🗹, লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতিপ্রেমীদের ভীষণভাবে ♉আকৃষ্ট করে।

এছাড়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেঁষে ও বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে অরণ্যরাজি আর গারো পাহাড়﷽ এলাকার পাহাড়ি নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মৃগী, সোমেশ্বরী, মালিঝি, মহারশীর ঐশ্বরিক প্রাচুর্যস্নাত অববাহিকায় সমৃদ্ধ জনপদ শেরপুর। এই জেলার বিশাল অংশজুড়ে গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি। লাল মাটির উঁচু পাহাড়। গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল। দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ছন্দ তুলে পাহাড়ি ঝর্ণার এগিয়ে চলা।

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে গজনী অবকাশ পর্যটনকেন্দ্র। এর প্রবেশমুখে রয়েছে জলপরী, ডাইনাসোরের প্রতিকৃতি, ড্রাগন ট্যানেল, দণ্ডায়মান জিরাফ, পদ্ম সিঁড়ি, লেক ভিউ পেন্টাগন, হাতির প্রতিকৃতি, স্মৃতিসৌধ, গারো মা ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার অন্যতম। পূর্বে ছোট পরিসরে এক🃏টি চিড়িয়াখানায় নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে মেছো বাঘ, অজগর সাপ, হরিণ, ভাল্লুকসহ প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণী।

এছাড়া গারো পাহাড়ের বুকজুড়ে তৈরি হ😼য়েছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে।  উঁচু পাহাড় থেকে জলপ্রপাত তৈরি হয়েছে। আগত শিশু দর্শনার্থীদের জন্য চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি নতুন যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। থাকছে শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কর্নার।

জামাꦆলপুরের ইসলামপুর থেকে আসা শিক্ষার্থী মীর আসাদ জানান, অবকাশ কেন্দ্রে ‘চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক’ আর 🍨‘শিশু কর্নার’ তাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে।

ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছেন শাহেদ আলম ও লিপি আক্তার দম্পতি। তারা জানান, ঈদের ছুটিতে শহরের কোলাহল ছেড়ে তারা গজনী অবকাশে ঘুরতে এসেছেন। পর্যটনকেন্দ্রে তৈরি করা নতুন নতুন ভাস্কর্য ত😼াদের মনে এক অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করেছে।

মধুটিলা ইকোর্পাক এলাকার ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, নালিতাবাড়ী সদর থেকে প্রায় ১৪ ক𒅌িলোমিটার উত্তরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ২০০০ সালে সরকারিভাবে নির্মিত হয় ‘মধুটিলা ইকোর্পাক’। এই পার্কটির প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে সারি সারি গাছ। রাস্তার ডানপাশে খোলা প্রান্তর আর দুপাশে রকমারি পণ🐲্যের দোকান। সামনের ক্যান্টিন পার হলেই পাহাড়ি ঢালু রাস্তা। এরপরই হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্য কন্যা, মাছ ও পাখির ভাস্কর্য।

সাইফুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, “ইকোর্পাকের আঁকাবাঁকা পথে ঘন গাছের সারি লেকের দিকে🌠 চলে গেছে। তারপর স্টার ব্রিজ পেরিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে আরোহণ করলেই নজর কেড়ে নেয় ভারতের উঁচুনিচু পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন হাজার হাজার ভ্রমণপ💞িয়াসী।”

পর্যটনকেন্দ্রের এক ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, গত ঈদগুলোর চেয়ে এবার প্রচুর দর্শনার্থীর সম🍬াগম হয়েছে। এ কারণে বিক্রিও অনেক ভালো হচ্ছে।

ঈদ ঘিরে পর্যটনকেন্দ্রের রাইডসগুলো নতুন🃏ভাবে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গজনীর রাইডস ইজারাদার ছানোয়ার ☂হোসেন।

অর্কিডের মালিক আবু সাঈদ বলেন, “ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার পর্যটক ভালো আসছে। বিনোদন প্রেমীরা ভালো সাড়া ফেলেছে। আর এভাবে পর্যটক এলে আমাদের এবছরও𒁏 ভালো ব্যবসা হবে।“

এদিকে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানি🍒য়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহꦅমেদ বাদল।

Link copied!