সাকিব আল হাসান একটি নাম, একটি ইতিহাস, একটি রেকর্ডবুক। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় এই সাকিব মাত্র কয়েকমাসের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তꦓার অভাবেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর একটি হত্যা মামলায় ফেঁসেꦯ যান সর্বকালের অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। সাধ ছিল, দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলবেন। কিন্তু কেউ তাকে নিরাপত্তা দিতে রাজি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির ‘আপদকালীন’ সভাপতি এবং সাবেক প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়ক ফারুক আহমেদ স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বিসিবি কোন পু🦄লিশ বা অন্য বাহিনী নয়। আমি বা আমরা তাকে তাই নিরাপত্তা দিতে পারবো না।’
এরপর সকলের চোখ ছিল অন্তরবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দিকে, তিনি কি বলেন বিসিবির সভাপতির কথার প্রেক্ষিতে। রোববার সꦿে জবাবও মিলে গেল।
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘যে 🤪কোন নাগরিকের নিরাপত্তার বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। সেই নিরাপত্তা তো সাকিবের জন্য আছেই। কিন্তু সাকিবের তো দুটি পরিচয়। একট🌃ি তিনি খেলোয়াড়। অপরটি রাজনৈতিক। সাকিব তো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। সেই কারনে জনগনের আক্রোশ যদি তার উপর পড়ে তাহলে তো কিছুই করার থাকে না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন পুলিশ ও একজন গানম্যান দিয়ে দেশের মানুষের ক্ষোভকে কি ঠেকানো সম্ভব?’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সাকিবকে জনগণের কাছে নিজের অবস্থান তো নিজেরই পরিস্⛦কার করতে হবে। জনগণের ক্ষোভের বিপরীতে নিরাপত্তা চাওয়া অবা꧂ন্তর।’