বৃষ্টিবিঘ্নিত ব্রিসবান টেস্টের নাটকীয়তা যেন শেষই হচ্ছে না। একদ💧িকে, বৃষ্টির কারণে প্রথম দিꦆন নামমাত্র খেলা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বলা যায় ভালো খেলা হয়েছে। তৃতীয় দিন মাত্র ৩৩.১ ওভার খেলা হয়েছে। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনেও বৃষ্টির কারণে কয়েকবারই বন্ধ থেকেছে খেলা। এরই মধ্যে ভারত পড়ে যায় ফলোঅনের আশঙ্কায়। তবে দুই বোলার আকাশ দ্বীপ ও জশপ্রীত বুমরাহ দশম জুটিতে অপরাজিত ৩৯ রান করে ফলোঅন তো এড়িয়েছেন, সেইসঙ্গে শেষ নাটকটা তুলে রাখলেন বুধবার পঞ্চম ও শেষ দিনের জন্য।
চতুর্থ দিনের একেবারেই শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বল গালির ওপর দিয়ে পাঠালেন আকাশ দীপ। সঙ্গে সঙ্গে সাজঘরে কোচ গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের লাফালাফি শুরু। মনে হচ্ছিল ভারত জিতে গেছে। আসলে তা নয়, ভারত ফলোঅন এড়িয়েছে সেই ছক্কায়। আসল ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় বুমরাহ ও আকাশ ফলোঅনের লজ্জা♓ ঢাকলেন।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৪♉৫ রান করেছিল। ফলোঅন বাঁচাতে হলে ভারতকে ২৪৬ রান করতে হত। দিনশেষে ৯ উইকেটে স্কোর ২৫২ রান হওয়ায় সেটা করে ফেললো ভারত। যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিল, ꦅরিশভ পান্ত, বিরাট, রোহিতরা রান না পাওয়ায় জয়ের আশা ছেড়ে দেওয়াই স্বাভাবিক। রান পেলেন শুধু লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা। ওপেনার হিসাবে সুযোগ পেয়ে টেস্টে নতুন জীবন পেয়েছেন রাহুল। রাহুল থামেন ৮৪ রানে। আউট হন স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে।
রাহুলের দেখানো পথ অর্থাৎ ‘ক্রিজে টিকে থাকলেই রান আসবে’- এই নীতি অনুসরণ করলেন জাদেজা এবং নীতীশ কুমার রেড্ডি। তারা ৫৩ রানের জুটি গড়েন। যে জুটি ফলোঅন এড়ানোর বিশ্বাস তৈরি করে। নীতীশ ৬১ বলে ১৬ রান করে আউট হওয়ার পর জাদেজার সঙ্গীহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সিরাজ ১১ বলে ১ রান করে আউট হন। মূল্যবান ৭৭ রান করে আউট হন জাদেজাও। প্যাট কামিন্সের বাউন্সার সাম♐লাতে না পেরে উইকেট দিয়ে আসেন।
তবেꦆ সব অসম্ভবকে সম্ভব করলেন বুমরাহ ও আকাশ। বুমর🦹াহ বল হাতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এবার ব্যাট হাতে ফলোঅন বাঁচানোর ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখলেন।
দিনের শেষে ২৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত বুমরাহ। আর আকাশ ৩১ বলে ২৭ রানে অপরাজিত। বুধবার সকালে পুনরায় প𒈔্রথম ইনিংস খেলতে নামবে ভারত হাতে ১ উইকেট নিয়ে। তবে অতি নাটকীয় কিছু না ঘটলে 🐼বৃষ্টির খপ্পড়ে পড়া এই টেস্ট ম্যাচটি যে ড্র হবে, তা বলেই দেওয়া যায়।