বিশ্ব ফুটবলের যাদুকর, সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় দিয়েগো ম্যারাডোনা। ফুটবলের মোহনীয় জাদু আর আনন্দ-ফুর্তিতে সবাইকে মাতিয়ে রাখা ম্যারাড𒐪োনা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় চার বছর হলো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চ𝄹লে গেছেন পরপারে।
আজ ম্যারাডোনার জন্মদিন। ১৯৬০ꦺ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেঁচে থাকলে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত এই কিংবদন্তির এখন বয়স হতো ৬৪ বছর।
মাঠে অবিশ্বাস্য সব কীর্তির জন্য ম্যারডোনাকে ভক্তরা ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা ܫকরেন। তবে তার ভেতরের শয়ত𒐪ান তাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই যদি কারো সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে বিংশ শতাব্দীর বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী নেতা চে গেভারা/চে গুয়েভারার সঙ্গেই বোধহয় তার অনেক বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
কেন চে’র সঙ্গে তুলনা? আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের এক ঘিঞ্জি বস্তি থেকে ফুটবলপাগল দেশকে বিশ্বকাপের গৌরব এনে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। যা ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ গৌরবগাঁথা হয়ে থাকবে। অনেকটা এক🦄ক নৈপুণ্যে তার এমন 🌟অবিশ্বাস্য অর্জনের জন্যই তাকে নিজ দেশের বিপ্লবী কিংবদন্তি চে’র সঙ্গে তুলনা করা হয়।
ম্যারাডোনা ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন। আবার মাদকযোগের কারণে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে বের করেও দেওয়া হয় তাকে। বছরের পর মাদকাসক্ত থাকা, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রღহণ এবং মদ পান তার ক্যারিয়ারকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে দেয়নি।
ম্যারাডনাকে ২০০৮ সালে দেখা গেল আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে। যদিও তার অধীনে বিশ্বকাপে🍬 বাজে পারফর্ম করেছিলেন লিওনেল মেসিরা, তবু যে কয়দিন দায়িত্বে ছিলেন তার উৎসাহ এবং উদ্💫দীপনা ছিল দেখার মতো।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ জেতার পেছনে ম্যারাডোনার অবদান কোনোদিন ভুলতে পারবে না আর্জেন্টাইনরা। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দুটি অবিশ্বাস্য গোল ফুটবলভক্তদের মনে স্থায়ী আসন গেড়𓂃েছে। এর একটা তো ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে বিখ্যাত। আর ইংল্যান্ডের অর্ধেক খেলোয়া🌼ড়দের ড্রিবল করে যে গোলটি করেছেন তা ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে অমর হয়ে থাকবে।
কেন ম্যারাডোনার প্রতি আর্জেন্টাইনদের এত ভালোবাসা তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। চরম আর্থিক সংকটে পড়ার পাশাপাশ♌ি ১৯৮২ সালে ব্রিটিশদের কাছে ফকল্যান্ড যুদ্ধে হার মিলিয়ে একটা সময় আর্জেন্টিনার অবস্থা ছিল বেহাল। হতাশায় ডুবতে বসা নিজ দেশের জনগণের জন্য ম্যারাডোনা ছিলেন একপ্রকার প্রতিষেধক।