টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুꦕরু থেকে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। এমনকি ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হয়েছে টাইগাররা। এবার জয়ের খোঁজে নিজেদের সবচেয়ে নাজুক ফরম্যাটে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের শতক ও মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। লিটনের ১১৩* ও মুশফিকের ৮২* রানে ভর করে ২৫৩ রান করেছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগারদের টেস্ট ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। দিনের শুরুতে পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে সাদমান ও সাইফের ওপেনিং জুটি লম্বা হয়নি। শাহিন আফ্রিদির বলে ღ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন সাইফ হাসান, তখন দলের রান মাত🐻্র ১৯।
তিনে নেমে সাইফকে হারানোর ক্ষত পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত। কিন্তু অন্য পাশ থেকে বিদায় ঘটে সাদমানের। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। ৪৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মুমিনুꦡল হক। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর শান্তও অবশ্য টেকেনি দলীয় ৪৯ রানে ১৪ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে আউট তিনি।
৪৯ রানে টপ অর্ডারের চার চারজন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। একটা সময় শঙ্কা জেগেছিল ঘরের ☂মাঠেও কি ভরাডুবি হবে টাইগারদের। কিন্তু তা হতে দেননি লিটন কুমার দাস ও মিস🐠্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।
টেস্টের প্রথম সেশনে যেখানে পাকিস্তানের দাপট ছিল, সেখানে থেকে আলো কেড়ে নেন লিটন-মুশফিক। দুইজনের জুটিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে একটু নড়বড়ে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে রানে চাকা সচল রাখে এই জুটি। লিটন-মু🐻শফিকের ব্যাটেই দ্বিতীয় সেশনে উইকেট ধরে রাখে বাংলাদেশ। এমনকি তৃতীয় সেশনেও কোনো উইকেট হারায় টাইগাররা।
বিশ্বকাপে༒ ব্যাট হাতে খারাপ খেলায় সমালোচনা ও ট🍃্রলের শিকার হতে হয়েছিল লিটন ও মুশফিককে। রেকর্ডময় অপরাজিত জুটিতে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে নায়ক বনে গিয়েছে এই জুটি। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫ রানই ছিল লিটনের সর্বোচ্চ ইনিংস। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ রান করেও আউট হয়েছিলেন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির আকাঙ্ক্ষাটা তার ভেতরে ভালো করেই ছিল।
পাকিস্তানের বোলারদের হতাশ করে♚ দুর্দান্ত এক বোলিং আক্রমণকে দমিয়ে রেখে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। দিন শেষে তিনি অপরাজিত আছেন ১১৩* রানে। সেঞ্চুরি করতে ১০টি চার ও একটি ছয় মেরেছেন তিনি। আর প্রথম দিন শেষে তার নামের পাশে লেখা ১১টি চার ও একটি ছয়। টেস্ট মেজাজেই খেলেছেন এই ব্যাটার। তার অপরাজিত ইনিংসে খেলেছেন ২২৫ বল।
অন্য প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডি📖পেন্ডেবল আজ খেলেছেন দুর্দান্ত। ১০টি চারে ৮২* রানে অপরাজিত আছেন তিনি। সবকিছু🃏 ঠিক ঠাক থাকলে আগামীকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসবে সেঞ্চুরি, এমনটাই আশা টাইগার ভক্তদের।
মুশফিক-লিটনের ৪১৩ বলে অপরাজিত ২০৪♓ রানের জুটিতে ২৫৩ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী, ফাহিম আ🐈শরাফ ও সাজিদ খান।