দেশের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক আজাদ রহমানের সং🔜গ্রহে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে হস্তান্তর করা ⛎হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মিউজ🗹িয়ামের জন্য মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান কাছে দ্রব্যাদি হস্তান্🅘তর করেন আজাদ রহমানের স্ত্রী বিশিষ্ট গায়িকা সেলিনা আজাদ।
এ সময় প্রকল্পღ পﷺরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, পরিচালক ফারহানা রহমান, কর্মকর্তারা ও আজাদ রহমানের ছোট ভাই সাজ্জাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর করা দ্রব্যাদিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আজাদ রহমানের মুভিটোন স্টুডিওতে ব্যবহৃত ৩৫ মিমি প্রজেক্টর মেশিন, মিকচার মেশিন, ৩৫ মিমি পোর্টেবল এডিটিং মেশিন, ১৬ মিমি পোর্টেবল এডিটিং মেশিন, নিউ ম্যান মাইক্রোফোন, মনিটরসহ ৮ মিমি প্রজেক্টর, তৎকালীন টাইপ রাইটার, সাউন্ড বক্স, ট্রানজেস্টার টিভি রিসিভার, অডিও রিভার্ব প্রসেসর, ইকোলাইজার (মাল্টি ইফেক্ট প্রসেসর), মিনি অডিও মিকচার, এমপ্লিফায়ার, এমপি থ্রি, ২টি গিটার, প্রজেক্টার এমপ্লিফায়ার, মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড, বিভিন্ন গানের স্পুল টেপ ছোট/বড়, ১৬ মিমি ক্যামেরা, নাগরা থ্রি, এইট ট্র ক্যাসেট রেকর্ডার, ডিজিটাল কন𒈔সল, ক্যাসেট রেকর্ডার, বিভিন্ন ধরনের অডিও ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি, বেটাক্যাম, বাংলা খেয়াল প্রশিক্ষণের বই, সনি ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
ষাটের দশক থেকে সংগীতের সঙ্গে জড়িত হন আজাদ রহমান। রবীন্দ্রভারতী থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী আজাদ রহমান চলচ্চিত্রের অসংখ্য কালজয়ী গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি টপ্পা, ঠুমরি, গজল, কাওয়ালি💧, ধ্রুপদ, খেয়াল, আধুনিক সংগীতের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। পিয়ানো বাদন, অর্কেস্ট্রা কম্পোজিশনে তিনি অসাধারণ দক্ষ ছিলেন।
আজাদ রহমান ১৯৬৪ সালে ঢাকা বেতার যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে আগুন্তক চলচ্চিত্রে প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন। ১৯৭৭ সালে ‘জাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সুরকার ও ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে তিনি জনসচেনতামূলক ‘গোপন কথা’ নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচাল♓না করেন।