সৌদি আর🃏বের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তিনজন নিহত হয়েছেন🧸।
বুধবার (২ জুলাই) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স♎্বজনরা।
এ ঘটনার পর থেকে নিহতদে🌺র গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন আত্রাই উপজেলার শিক♉ারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫),দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমানܫ (৪০) ও তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০)।
উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুৎ হোসেন𒊎 জানান, তার শ্বশুড় কৃষি শ্রমীক ছিলജেন। আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১ শতক জায়গা বিক্রি করে, ধার-দেনা করে টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধার-দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি।
শুকবরের দুই ছেলে এক মেয়ে।๊ ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামীম হোসেন প্রতিবন্ধী। তার মাথাগোঁজার একমাত্র বাড়ির তিন শতক জায়গা ছাড়া আর কোন জমি নেই। শ্বশুর শুকবর আলীই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
তে♔জনন্দি গ্রামের নিহত ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, তার চাচা ফারুক হোসেন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় ৬ বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান তিনি। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। প্রায় ৮ মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কা❀জে যোগ দেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।
শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল দেশে পোশাক শ্রমিক ছিলেন। ধার-দেনা করে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধার-দেনা শোধ করে ইটের বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাড়ির কাজ শেষ হলে আগামী বছর দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে রইল না। বুধবার রাত অনুমান সাড়ꦯে ১০টার দিকে আগুনে পুরে মারা যাবার খবর আসে।
নিহতদের দ্র♌ুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তাদের পরিবার।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদি আরবে আগুনে পুরে তিনজনের নিহতের খবর ꩲপেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা থাকলে তা করতে সার্বিক সহযোগিতা🍨 করা হবে।