স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল চকবাজার পলিথিনি কারখানায় আগুনে পোড়া নিহতদের🍨 স্বজনেরা। ওই সময় লাশকাটা ঘরে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া 🐓হবে। এ সময় স্বজনদের কান্নায় মর্গের সামনে হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহত স্বজনদের অভিযোগ আমাদের সকাল ৮টায় আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয়জনের সবাইকে শনাক্ত করেছে পরিবার। প্রতিটি লাশ নেওয়ার সময়ই স্বজনরা যেন মেনে নিতে পারছিল না। যারা মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেকেই পলিথিন কারখানার নিচে অবস্থিত বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। যারা আগুন লাগার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। তাদের রোজগাꩵরে সংসার🎃 চলত। একদিকে নির্ভরশীলতা, অন্যদিকে এমন করুণ মৃত্যু। অকালে তাদের চলে যাওয়া যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না স্বজনেরা।
নিহত মোতালেবের স্বজন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সকাল ৮টার তার মধ্যে আমাদের এখানে থা🌊কতে বলেছে। ১০টার ভেতর স্বজনদের লাশ আমরা পাব। সঙ্গে করে আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এগুলা নিয়ে আসার জন্য বলেছে। আমরা সেগুলো নিয়ে সকাল ৭টার মধ্যে চলে এসেছি। এসে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাউকে পাইনি। আমরা অনেক কষ্টে তাদের নম্বর সংগ্রহ করেছি। তাཧদের ফোন দিলে তারা বলে থানা থেকে কাগজ না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারব না।”
নিহত লিটন সরকারের এক স্বজন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “লিটন সরকার বরিশাল হোটেলে রুটির কা🌺রিগর ছিল। হবিগঞ্জ বাড়ি। আমাকে সেই হোটে𒐪লের একজন কর্মচারী ফোন দিয়ে আগুন লাগার কথা জানায়। আমরা এসে তাদের আর কোনো খোঁজ পাইনি। এখন লাশের জন্য অপেক্ষা করছি। যত তাড়াতাড়ি আমাদের লাশ বুঝিয়ে দেবে আমরা তত তাড়াতাড়ি লাশ গ্রামে নিয়ে দাফন করব।”