রাℱজধানীতে সকাল থেকেই ছিল তীব্র রোদ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি বা ঝড়োহাওয়ার কোনো পূর্বাভাস ছিল না। তারপরেও দুপুরের পরে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়ার দাপট। যদিও সে🦂 বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অবশ্য সে বৃষ্টি শুধু রাজধানীতেই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জায়গাতেও হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী রাজধানীতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। উত্তপ্ত রাজপথ ভিজে গেছে। গরম𒈔 আবহাওয়া হয়ে পড়ে অনেকটা শীত। স্বস্তি নেমে আসে জনজীবনে। তবে পূর্বাভাস না থাকলেও কেন ঢাকায় ঝড়োবৃষ্টি হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক আবহাওয়াবিদ।
বৃষ্টির পর বিকেলে একটি জাতীয় দৈনিককে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেছেন, সত্যিকার অর্থেই ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কিছু মেঘমালা ময়মনসিংহের দিক থেকে সিলেটে চলে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছিল। কিন্তু বৃষ্টি হয়🐬ে গেল ঢাকায়।
কার𒈔ণ ব্যাখ্যা করে বজলুর রশিদ বলেন, ঢাকায় স্থানীয়ভাবে এ෴কটি মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায়তেই এ সময় এটা খুব দ্রুতই হয়ে থাকে। যে কারণে এর পূর্বাভাস দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া আবহাওয়া সংক্রান্ত আমাদের যেসব মডেল ছিল, সেগুলোতে এটা ধরা পড়ছিল না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃষ্টির আগে যে তাপমাত্রা রেকর্♊ড করা হয়েছে, তা রাজধানীতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ। অবশ্য বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে। তবে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বৃষ্টি না হলে তা🌺পমাত্রা বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি এপ্রিলের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ঈদের তিন দিন আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। তবে তারপর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন স্থানে ম𒅌ৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকꦛর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।