আমার পরিবারের সদস্যরা সারা জীবন গণতন🍸্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, “আজকে যারা মানবাধিকারের কথা ▨বলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, পঁচাত্তরে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। কী দোষ ছিল বেবি খালার, আরিফ মামার, শেখ রাসেলের। কী দোষ ছিল আমার মায়ের। আমরা তো সেই অধিকার কোনো দিনও পাইনি।”
বুধবার (১৫ মার্চ) আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির সহধর্মিণী আরজু মণিಌ সেরনিয়াবাতের ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের কবর🔯ে যুবলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন বলে ২১ বছর পর গুলি, বারুদ, বোমা, হত্যা চেষ্টা, আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা, তাদের ওপর অত্যাচার-জুলুমের পরেও ক্ষমতায় এসে বিচারের পথ সুগম করেছ🌟েন। তার সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা ১৫ আগসไ্টের বিচার পেয়েছি। ন্যায় পরায়ণতার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের কাছে আমাꦡর প্রশ্ন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তাদের ভূমিকা কী ছিল? আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য কী করে🅘ছেন? মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই এগুলো পড়ে। আমরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।”
যুবলীগ চꦰেয়ারম্যান বলেন, “মা জানতেন, আমার বাবার প্রতি আঘাত আসতে পারে এ🌟বং একাধিকবার বাবাকে হত্যা চেষ্টাও করা হয়েছে। আমার মা তা বুঝতে পেরেছিলেন। আমার বাবার জীবনে সেই দুঃস্বপ্ন যেন বাস্তবে পরিণত না হয় সেজন্য তিনি সর্বদা সতর্ক থাকার চেষ্টা করতেন; ভয়ে ভয়ে চলতেন। এ জন্যই তিনি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অন্তঃসত্তা অবস্থায় এম এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন।”
তিনি বলেন, “আমার মা বরিশালের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। নানা ছিলেন আব্দুর রব সে🌠রনিয়াবাত। বরিশাল বিভাগসহ সারা দেশের মানুষ তাকে একজন সৎ রাজনꦐীতিবিদ হিসেবে চিনতেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বয়সী অনেকেরই মা আছে, তারা মা বলে ডাকে, মায়ের সেব♔া করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা তো মায়ের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি না। ইচ্ছে করে মায়ের সেবা করতে, মাকে ভালোবাসতে, তার কাছে যেতে। আমরা সেই সুযোগ পাই নাই।”