সারা দেশে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। আবার কয়েকটি অঞ্চলে এর মধ্যে কিছুটা বৃষ্টিও হয়েছে। আর এই অজুহাতে রাজধানীর বাজারগুলোতে ജবেড়েছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে সবজির দাম সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রখর রোদ আর হালকা বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই পচতে 𓆉শুরু করেছে সবজি। ফলে সরবরাহ কম থাকায় সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার (৩ মে) কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৩০, শসা ৫০, ♛বরবটি ৫০, ঝিঙা ৬০, পেঁপে ৮০, টমেটো ৪০, চিচিঙ💯্গা ৫০, কচুর লতি ৬০, করলা ৫০, সজনে ১৬০ এবং বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।
গত সপ্ত🎃াহে একই বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজির দাম ছিল ৪০ টাকা। প্রতি কেজি ঢেঁড়স ২০, শসা ৩০, বরবটি ৪০, ঝিঙা ৪০, পেঁপে ৪০, টমেটো ৩০, চিচিঙ্গা ৪০, কচুর লতি ৪০, করলা ৬০, সজনে ১৪০ এবং বেগুন প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০ টাকা।
আব্দুস সামাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, “সবজির বাজার সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না। বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়ে🅰ছে। সবজির বাজার ওঠানামা করে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু সবজির দাম🤪 এমন বেড়েছে, তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। যেসব সবজির দাম বেশি, ওগুলো কম কিনেছি। আর যেসব সবজির দাম কম সেগুলো প্রয়োজন মতো কিনেছি।”
ফার্মগেট থেকে আসা শাওন বলেন, “পেঁপের দাম ৮০ টাকা ভাবতে পারেন। সব জিনিসের দাম বেশি। ৪০ টা💦কার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এখন বাজারে হিসাব করে আসা যায় না। কারণ দাম আজকে যা আছে, কালকে বেশি হচ্ছে। আজকে বাড়ি থেকে চিন্তা করে এসেছিলাম ১ কেজি করে সবজি কিনব। কিন্তু এসে কিনতে হলো হাফ কেজি করে। কিছুই করার নাই।”
খোকন নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “গত মাস থেকেই অনেক রোদ, 🌱গরম। দুই-তিন দিন ধরে ফের বৃষ্টিও হচ্ছে। এ কারণে ক্ষেতেই সবজি পচে যাচ্ছে। বাজারে ঠিকমতো সবজি আসছে না। তাই দাম বেশি। কিছুদিন পরে দাম কমে যাবে আশা করা যায়।”
আনোয়ার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে আজকে বেড়েছে। দাম বাড়ায় ক্রেতা আছে মোটামুটি। কিন্তু বিক্রি কমেছে। যার প্রয়োজন আছে ১ কেজি, তারা হাফ কেজি নিচ্ছে। মানে কম ꧑কম করে কিনছে মানুষ।”