স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, কেউ যেন কাঁচা খেজুরের রস পান না করেন। নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের উদ্যোগ হিসেবে এই পদক্ষেপ বলে এক স্বাস্থ্য বার্তায় এ আহ্বা💯ন জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনোটিকডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর ডেপু🏅টি প্রোগ্রাম ✃ম্যানেজার ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত এক স্বাস্থ্য বার্তায় এই আহ্বান জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতি রোগ। সাধারণত শীতকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা♔ যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুরের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয়𒆙, এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। তাই কাঁচা খেজুরের রস পান করলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বার্তায় বলা হয়, বর্তমানে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছ🧜ে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছীগণকে এবং সাধারণ জনগণকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করা হলে এর সংক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদে রাখা সম্ভব। দেশে এই রোগে মৃত্যুহার ৭০ শতাংশেরও বেশি।
স্বাস্থ্যবার্তার🐠 তথ্যে আরও জানা যায়, ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা যায়। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এর থেকে বাঁচার প্রধান উপায়।
খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কর💜া হয়েছে কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে যাতে তারা বিক্রি না করেন। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই।
নিপাহ রোগ💙ের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো- জ্বরসহ মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া ও কোনো কোনো ক্𒁃ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া, কোনো ধরন🎉ের আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত থাকা।
সূত্র-বাসস