বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবꦯিবি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধাꦇনীর হেলথ ইকোনোಌমিক ইউনিটির সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপনায় দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশে বাৎসরিক খাদ💮্য ও মসলা আমদানিতে ব্যয় হয় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। দেশের তামাক চাষের জমিগুলোতে আমদানি নির্ভর পণ্য চাষ করলে খাদ্যের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশে আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে। আর এ সমস্যা সমাধানে তামাক চাষ হ্রাসের লক্ষ্যে দ্রুত ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’ চূড়ান্ত করা জরুরি।”
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি কোম্পানি সিগারেটের বিকল্প ও কম ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে ভেপিং/ই-সিগারেট প্রসারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ গোপনে কোম্পানিগুলো ভেপিং মেলার মাধ্যমে তরুণদের এ সকল পণ্য তরুণদের আকৃষ্ট করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা তামাকমুক্ত 👍বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করবে। বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলোর অর্থায়নে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্মিত হচ্ছে, যা তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে। ধূমপানের পাশাপাশি এসকল স্থানে নানা নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারেরও প্রমান মিলেছে।
বক্তারা🌜 আরও বলেন, “সিগারেটের মোড়কে উল্লেখিত মূল্যের থেকে স্থানভেদে ১০-৩৫ টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি হওয়ায় সরকার বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে তামাক কোম্পানিগুলোর এ ধরনের বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে শাস্তিুমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”
সভায় কনজিউমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সিএবি), ডাস, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, উবিনীগ, প্রজ্ঞা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, আইসিডিডিআরবি, বিএমএসএস ও আইডিএফসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা 🅘অংশগ্রহণ করেন।