• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সংগীতশিল্পী তাহসানের মায়ের গাড়িচালক ছিলেন সেই আবেদ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
সংগীতশিল্পী তাহসানের মায়ের গাড়িচালক ছিলেন সেই আবেদ

অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম যখন বাংলাদেশ সরক𒆙ারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ♋ছিলেন প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলী।

পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকও গণমাধ্যমে দেওয়া তার বক্তব্যে বিষয়টি স্🌜পষ্ট করেছেন।

পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “আমি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগে পিএসসির সদস্য ছিলাম। আমি যোগদানের আগে ওই লোকের (আবেদ আলী) চাকরি গেছে বলে শুনেছি। ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগ🌠ম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিলেন। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ বরখাস্ত হন। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।”

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন দেশের অন্যতম প্꧃রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অষ্টম চেয়ারম্যান। ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ💦 করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ২৪তম (২০০২-২০০৩) বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এমনকি সেই পরীক্ষাও বাতিল করা হয়।

সেই সময়কার জাতীয় সংবাদপত্র বিশ্লেষণে এসব তথ্ꦚয উঠে এসেছে।

২৪তম বিসিএসের পরীক্ষার প্রশ্নপত🍎্র কিছু কোচিং সেন্টার🔜ের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেলে, সেই সময়ে দেশের প্রায় সকল জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে তা প্রকাশিত হয়। সারা দেশে সেই ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। 

জানা য💞ায়, সেই সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ড. জিনাতুন নেসা তাহꦫমিদা বেগম। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সমন্বিত ও মুদ্রণসহ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে পিএসসির প্রতিটি সদস্যই জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে পরীক্ষা বাতিলের দাবি নাকচ করে দেন। এমনকি প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও পিএসসি চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম কোনো তদন্ত কমিটি গঠন থেকেও বিরত থাকেন। 

পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রটি রমনা এলয় হাতে লেখা প্রশ্নপ❀ত্র ও উত্তরের কপি নিয়ে জিডি করতে গিয়েছিলেন; সে সম্পর্কেও তিনি কোনো খোঁজ-খবর নেননি এবং সংশ্লিষ্ট ওসিকেও ডেকে এ ব্যাপারে কোনো সত্যতা যাচাই করেনি।

𓆉সেই সময়ে এই ঘটনার পর সংবাদপত্রে প্রশ্ন ফাঁদ সম্পর্কে প্রতিদিন লেখালেখি অব্যাহত থাকায় এবং পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গোয়েন্দা সংস্থায় মাধ্যমে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়ায় পর সরকারের শীর্ষ মহল থেকে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে মত দেওয়া হয়। এরপরই ২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতি🅘ল করা হয়।

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেꦗগম ছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন’-এর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অষ্টম চেয়ারম্যান। ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

🧜ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও ১৯৬৭ সালে স্নাতক পাশ করেন এবং ১৯৭৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্ജরি অর্জন করেন।

এ বিষয়ে পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের ছেলে সংগীতশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন নম্ꦿবর বন্ধ পাওয়া যায়।

Link copied!