• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২০১৮ স🃏ালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ ক❀রেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিকꦅ্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় যান চলাচ🅰ল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীর মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দোয়েল চত্বর ও সুপ্রিম কোর্টের সামনে দিয়ে শাহবাগে এসে মিছিলটি ♋থামে বিকেল পৌনে চারটার দিকে। এরপর থেকে শাহবাগ মোড়ে সড়কের ওপর অবস্থান নিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা৷

মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধা🌞বীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেন। মিছিলটি শাহব🃏াগে পৌঁছানোর আগেই সেখানে সড়কের ওপর বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন। তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়নি৷

বিকেল চারটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় শাহবাগ মোড়ের সড়কে অবস্থা নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলা🔯চল বন্ধ হয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক ঘণ্টার জন্য শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন এই আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের আজকের কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রাজধানীর বিভি𒀰ন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সবার দাবি, আগামীকাল (৪ জুলাই) উচ্চআদালতে যে শুনানি রয়েছে, সেখানে যেন ꦛআপামর শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পক্ষে রায় দেন।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালꦰয়৷

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই 🍎রিটের রায়ে ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!