ꦿবেশ কিছুদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী। ভারত থেকে আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমে ছিল। এর পর থেকে এক দিন কমে তো আরেক দিন বাড়ে। বর্তমান প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম।
বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাতে গত তিন-চার দিনে সবজির দাম আরেক দফা বেড়ꦉেছে। এর আগে দাম কিছুটা কম যাচ্ছিল। পাইকারি বাজারেই সবকিছুর দাম বেশি। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘু🐽রে এমন চিত্র দেখা যায়।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ♏৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দꦰামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ সাইজভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ ꦫটাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়⭕ বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজাহার মোল্লা। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ব🦩াড়তি। কোনো সবজির দাম জিজ্ঞেস ক🔜রলেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা সম্ভব? গত সপ্তাহে তবুও সবজির দাম কম ছিল, আজ বাজারে এসে দেখছি দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় এক কেজির জায়গায় আধা কেজি কিনতে হচ্ছে।”
স⛦জিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাড়তি দামের কারণে ভালো কোনো মাছ আমাদের মতো নিম্ন আয়ের লোকজনরা কিনতে পারছে না। পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই সাধারণত বেশি কেনা হয়। আজকের বাজার⛦ে দেখা যাচ্ছে এগুলোর দামও বেড়ে গেছে।”
কাঁচা মরিচের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাল্লাপ্রতি (৫ কেজি) পাইকারিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। সে হিসেবে কেজি পড়ছে ৩০০ ඣটাকার ওপরে। এছাড়া গাড়ি ভাড়া ও কিছু খরচ মিলিয়ে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে 🦩দাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০০ টাকা।
কারওꦡয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. হিরণ মিয়া সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এখন সবজির মৌসুম নেই। বেশ কয়েক জায়গায় বৃষ্টি ও বন্যায় বাজারে সবজির সরব✃রাহ কম। কারওয়ান বাজারে এখন আগের মতো সবজি আসছে না। যেগুলো আসছে, সেগুলো বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।”
কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. রুবেল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মাছের দ♎াম ঈদের আগে থেকেইℱ বাড়তি, ঈদের পর নতুন করে আবার বেড়েছে। মূলত বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এখন দাম বাড়ছে। ঈদের পরে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।”