“১৯৯০ সালের পর থেকে লেপের ব্যবসাটা কমতে শুরু করেছে। এখন কম্বল এসে গেছে। সকলেই এখন সৌখিন হচ্ছে, তাই আর কেউ লেপ নিতে চায় না। কম্বলের গরম আরামদায়ক। আর লেপের গরমে𒉰 শরীর ভিজে যায়। কম্বলের কারণ๊ে এখন লেপ তেমন একটা চলে না। এই ব্যবসা (লেপ) এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে।”
💫এই কথাগুলো ইমতিয়াজুল আলম মিরন নামের একজন লেপ-তোষক ব্যবসায়ীর। শুধু তিনি নয় তার মতো অনেক ব্যবসায়ীর কথাগুলো ঠিক একই রকম।
সারা দেশের মতো রাজধানীতেও ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। যা সন্ধ্যার পর এবং ভোর বেলায় বেশ অনুভূত হচ্ছে। ঢাকার ফুটপাতগুলোতে সস্তা দামে শীতের কাপড় বিক্রি হওয়ার চিত্রও চোখে পড়ছে। যা জানান দিচ্ছে, শীত আসছে, আপনি প্রস্💯তুত তো? এরই ধারাবাহিকতায় শীতকালীন ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়🅺, কম্বলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কম্বল। রঙিন এসব কম্বলগুলোর মধ্যে কিছু পাতলা, কিছু মোটা। একেবারে কম মূল্যে যে কম্বলটি পাওয়া যায়, সেটির দাম ২৫০ টাকা।
অপরদিকে, একই বাজারের লেপ-তোষক তৈরি করা দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের কর্মব্▨যস্ততা নেই। অবসর কাটাচ্ছেন তারা। তবে একটি দোকানে দেখা যায়, লেপ প্রস্তুত করা হচ্ছে। যার দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা।
কম্বল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী এক মাস পর বাড়তে পারে চাহিদা। একইসঙ্গে বাড়তে পারে কম্বলের দামও। আর লেপ ব্যবসায়ীরা বলছেন,⭕ কম্বলের কারণে কমছে লেপের চাহিদা।
কথা হয় সেলিম নামের আরেক লেপ ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বল♚েন, “মানুষ এখন কম্বলের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। আগের দিনে দেখা যে🔯ত, বছরের এই সময়ের মধ্যে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে। এখন সেই ব্যস্ততা নেই। তুলা কিছু গোডাউনে আছে। একমাস পর পরিস্থিতি দেখে কাজ শুরু হবে। যদি প্রয়োজন হয় তখন আবার তুলা নিয়ে আসব। নইলে এই তুলা দিয়ে ব্যবসা হবে।”
রবিউল ইসলাম বাদশা নামের এক কম্বল ব্যবসায়ী বলেন, “কম্বলের চাহিদা এখন তেমন বাড়েনি। এখন সর্বোচ্চ ২০ পিচ ✃বিক্রি হচ্ছে। ঠান্ডা জেঁকে বসলে তখন ৭০ পিচ বিক্রি হতে পারে। কিছু ফরমায়েশ আছ𓃲ে। আশা করছি এবার ব্যবসা হবে। নির্বাচন আছে। অনেকেই জাকাত দেবেন। এখন সেই জনের (আল্লাহ) ইচ্ছা।”
কম্বল ক্রেতা সৌরভ বাগচি বলেন, “কম্বল পাতলা হলেও গরম তো ধরে। আর এটা বহন করা সহজ। কিন্তু আপনি যদি লেপ নেন, তাহলে দেখা যাবে বহন করার কষ্ট। বহনের সুবিধার জন্য কম্বল ভালো। তাছাড়া একটা ভালো লেপ প্রস্তুত করে নিতে গেলে ২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এই টাকায় মোটামুটি পাতলা কম্বল ৮ থেকে ৯ টা পাওয়া যাবে। লেপের গরম যদি কম্বলেই পাই। পাশাপাশি যদি সুবিধাও বেশি পাই। তাহলে লেপ ব্যবহার করার দরকার আছে বলে মনে হয় না।”