কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দে🐭শে সহিংসতায় ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে প্রথম আলো।
বিভিন্ন হাসপাতাল ও মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ৬, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ৪১, শুক্রবার (১৯ জুলাই) ৮৪, শনিবার (২০ জুলাই) ৩৮, রোববার (২১ জুলাই) ২১, সোমবার (২২ জুলাই) ৫ এবং মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত সোম ও মঙ্গলবারের মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় 🎉হয়েছে। তবে, সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি।
সোমবার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, “সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য নিহ♏ত হয়ে🅺ছেন। ১ হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১৩২ জন। তিনজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন।
ওই দিন (সোমবার) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সেখানে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, সং🗹ঘর্ষে মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা কত, সংকলিত কোনো হিসাব সরকারের কাছে আছে কি না? তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের আহত ও নিহতের হিসাব দেন।
বাংলাদেশ আনসಞার ও ভিডিপি জানায় হয়, নিহত আনসার সদস্যের নাম মো. জুয়েল শেখ (২২)। তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীতে।ℱ তিনি মতিঝিল থানায় অঙ্গীভূত আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই আনসার সদস্যের নিহতের তথ্য আগেই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ফলে নতুন করে আর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, তরুণ ও নারী রয়েছেন। নিহত মানুষের বেশির ভ༺াগের শরীরে গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। কারও কারও মৃত্যু হয়েছে আঘাতে। আহত অনেকে চোখে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় গুলির ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে ক🍷োটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে১৬ জ🌞ুলাই দেশে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা আরও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ বেশি হয়েছে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে। ১৭ জুলাই সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের দিন বন্ধ হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।