চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরಞী 𝐆হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা নিজেদের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। আদালত আরও বলেন, মামলার কেস ডকেট গায়েব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্ඣযবেক✅্ষণ দেন।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্ꦦযা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি দুজন হচ্ছেন বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী। সাজাপ্রাপꦚ্ত তিনজনই পলাতক।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেছেন, “সোহেল চৌধুরী কোনো অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাক্ষীরা সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল। সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে উপস্থাপন করা হয🌺়নি।”
আদালত আরও বলেন, “আসামি আদনান সিদ্দিকী নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই আদনান সিদ্দিকী ও বান্টি ইসলাম খুনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই তিন 🙈আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।”
১৯৯৮ সালে রাজধানীর বনানীর তৎকালীন ট্রাম্প ক্লাবের সামনে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 💃চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাত্র ১০ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। এই ১০ জনের মধ্যে আবার ৩ জন সোহেল চৌধুরীকে খুনের অভিযোগ সমর্থন করে আদালতে সাক্ষ্য দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষ বাধ্য হয়ে তাদের বৈরী সাক্ষী ঘোষণা করে জেরা করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্♌শী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর গাড়িচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ ১২ সাক্ষীকে খুঁজে বের করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।