উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ যাতে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করতে না পারে𓃲, সেজন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ম🍨ঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী এক﷽নেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জমির বাজার মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে,🅠 প্রকল্পের জায়গায় যাতে কেউ𓃲 রাতারাতি অস্থায়ী বা বাঁশের কাঠামো তৈরি করে সেই কাঠামোর ক্ষতিপূরণ দাবি করতে না পারে।”
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রকল্প এলাকায় তাদের প্রথম সফরের সময় প্রকল্পের স্থানসমূহের ছবি তুলে রাখতে বলেন। যাতে অতিরিক্ত ক্ষতিপ𒀰ূর🍸ণ দাবির প্রবণতা রোধ করা যায়।
একনেক সভায় সোনাগাজীতে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী সোলার প্ল্যান্টের খুঁটির উচ্চতা একটি আদর্শ স্তরে রাখার জন্য বাস্তবায়নকারি সংস্থাকে নির্দেশ দেন, যাতে খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ বাতাস, পানি এবং সূর্যের আলꦡো যেতে পারে। এর ফলে জমিতে ভালো চাষাবাদ হতে পারে।
এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নকশায় কোনো সংশোধনীর প্রয়ো🍸জন না হয়। নড়াইল জেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর একটি সেতু প্রকল্পের নকশায় ত্রুটির কথা উল্লেখ করে শেখ 🐬হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও অন্যান্য নৌযান চল🅷াচলের পথ সুগম করার জন্য নবগঙ্ಌগা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর দুটি অংশ ভেঙে ফেলতে হয়েছে। কারণ সেতুর উচ্চতা কম ছিল। নকশায় ভুলের কারণে নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে ফেলার প্রয়োজন হওয়ায় একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারি তহবিলের অপ্রয়োজনীয় অপচয় রোধ করতে প্রকল্পের নকশা নির্ভুলভাবে প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি।
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্প অনুমোদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প এলাকার বাঁধগুলোকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ দ🎀িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এব্যাপারে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করায় একনেকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়। এ সময় বাকি কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রতিশ্রুত𒁃ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের সময় আমরা সাধারণ মান🐻ুষের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখেছি। দেশবাসী এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প আরও দেখতে চায়। আশা করি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট কাজ শিগগিরই শেষ হবে।”
সূত্র : বাসস।