সারাদেশেই বইয়ে যাচ্ছে অসহনীয় তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রার পরদ চড়চড় করে উঠে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ🃏্ছেন অনেকেই। অনেক এলাকায় ঘর থেকে বের না হতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শিগগি๊রই অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না। চলতি মাসের শেষ অবধি ভুগতে হবে দাবদাহে। এই যখন দেশ আর পরিবেশের পরিস্থিতি তখন রাজনৈতিক নেতারা রাজনীতির উত্তাপ ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আগ𒁏ামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি। তারা ব্যাপক জনসমাগমের বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সরকারকে বিদায়ের হুশিঁয়ারি দিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসবে জনগণ। সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে।
তবে বিএনপির এই হুংকারে বসে থাকতে নারাজ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। তারাও একইদিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি ও সমাবেশ করার ডাক দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছে গণমাধ্যমে। সেই সঙ্গে দলটির শীর্ষপর্যায়ের নেতারা পাল্টা হুংকার দিয়ে বলছে🐬ন, কর্মসূচির নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, তীব্র গরম আর তাপপ্রবাহের মধ্যে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রাজধানীতে আরও বেশি উত্তাপ ছড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এনিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সাম𒁃াজিক মাধ্যমেও আলোচনার ডালপালা মেলছে।
দলীয় সূত্রমতে, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও সাজার প্রতিবাদে তারা সমাবেশ ডেকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেছে। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরইমধ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।
এর আগে গত ২৫ মার্চ রাꦺজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে গুরুতর আহত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা। আক্রান্ত হয় প্রধান বিচারপতির বাসবভনসহ বেশকিছু স্থাপনা।
এসব ঘটনায় করা মামলায় দলের মহসাচিব ফখরুল সহ শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাই গ্রেপ্তার হন তখন। এরমধ্যে গেল ৭ জানুয়ারি বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের পরপর মহাসচিবসহ দলের বেশিরভা🅺গ𓆉 নেতা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও রাজনৈতক কর্মসূচির মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল আবারও নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা ২৬ এপ্রিলের সমাবেশকে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে এক দফা দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নেতা ড. মঈন খান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটি, গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। আমরা এই সরকারের বিদায় চাই। একইসুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উ🧔পদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা তো আমাদের এক দফা থেকে এখনও এক চুল সরে আসিনি। আমি মনে করি, আগামীতে রাজনীত♑ি উত্তপ্ত হবে এবং উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের অধিকার। তবে সমাবেশ ঘিরে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নগরবাসির জানমালের কোনো ক্ষতিসাধন না করে শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করলে কোনো বাধা দেবে না সরকার।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নতুন করে আ✅ন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দিবাস্বপ্ন দেখছে। বহির্বিশ্বের সব দেশ সরকারকে সমর্থন করছে। তাই ⛄সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী ২৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটের সামনে শান্তি সমাবেশ হবে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জ🔜নগণ উন্নয়নের প্রতিদান দেবে।