• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২২ ভাদ্র ১৪৩১, ১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বান্ধবীর সঙ্গে মতিউরের স্পর্শকাতর ফোনালাপে তোলপাড়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
বান্ধবীর সঙ্গে মতিউরের স্পর্শকাতর ফোনালাপে তোলপাড়
ছবি : সংগৃহীত

১৫ লাখ টাকার ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তারই অধস্তন নারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের মধ্💟যে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার স্পর্শকাতর অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এতে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফোনালাপে তাদের বলতে শোনা যায়-

মতিউর : ‘তোমার কাছে ... চাই, কখন দিতে পারবা? 
আরজিনা : আজকে...!
মতিউর : আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?
আরজিনা : আজকে... কালকে যাই। আজ শুক্রবার তো, মানে কি বলে বের হব, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছে তো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকে তো থাকবা ঢাকায়। 
মতিউর : দীর্ঘশ্বাস... ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না। 
আরজিনা : কষ্ট পেলে...মানে শুক্রবার তো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড...মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।
মতিউর : ফের দীর্ঘশ্বাস...ওকে।
উল্লিখিত বাক্যগুলো ছাগল-কাণ্ডে বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তারই অধস্তন নারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের মধ্যে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার এই স্পর্শকাতর অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোদ এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, শুধু মতিউর রহমানের বান্ধবী হিসেবে বহু অনৈতিক সুবিধা হাসিল করেছেন আরজিনা। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে বনেছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। ঢাকায় অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নামে-বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত। 
রাজধানীতে বিলাসবহুল ইন্টেরিয়রে মোড়ানো ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। মাত্র তিন বছরে আরজিনা কিনেছেন অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আরজিনা খাতুন বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ছিলেন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুন আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খতিয়ান তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ জমা দেন এক ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানি লন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ আর আলোচিত এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের সংস্পর্শে এসে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা। 
অভিযোগ আছে, মতিউর রহমানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পান আরজিনা। তরতর করে বাড়তে থাকে তার সম্পত্তি। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউসে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। অভিযোগ আছে, কারসাজি করে মতিউরই আরজিনাকে শেয়ার বাজারে মুনাফা তুলে দেন। মতিউর-আরজিনার মোবাইল ফোনালাপের অডিও রেকর্ড এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে। তাতে তাদের মধ্যে স্পর্শকাতর অশ্লীল কথাবার্তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে একটি সংবাদমাধ্যমকে আরজিনা খাতুন বলেন, “আমি আসলে যড়যন্ত্রের শিকার। আমার এক্স হাজবেন্ড একটা মামলা করেছেন, আমি একটা করেছি। আসলে সব মিলিয়ে আমি খুব বিপর্যস্ত। আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি, তাই উনি ক্ষিপ্ত হয়ে এগুলো করছ🌼েন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই একটি মহল এই চক্রান্ত করছে।”

Link copied!