একটা সময় আলুর কেজি ছিল ৮-১০ টাকা, চালের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা। তখন বলা হতো ‘বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’। চালের বাজারে দামের ধাক্কা সামাল দিতে ২০০৮ সালে এই স্লোগান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এখন আলু চালকে ছাড়িয়ে গেছে। 🔯তারা এখান সমানে-সমানে। কারণ, বাজারে আলুর দাম মাঝারি ও মোটা চালের দরকেও ছাড়িয়ে গেছে।ꦏ শুধু এক সপ্তাহের ফারাকেই আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার শান্তিনগর, মালিবাগ, আগারগাঁওসহ কয়েকটি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ টাক𝄹া দরে। তবে কোথাও কোথাও ৭৫ টাকা দরেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি কেজি আলুর দর ছিল ৬০ টাকার আ෴শপাশে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন প্রতি কেজি মোটা চাল (গুটিস্বর্ণা ও চায়না ইরি) বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া মাঝারি চালের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) কেজি ৫৮ থেকে ৬৫ এবং চিকন চালের (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) কেজি ৬৮ থেকে ৮০ টাকা। সেই হিসাবে শুধু মোটা ও মাঝার⭕ি নয়, ক্ষেত্রবিশেষ সরু চালের দরকেও ছাড়িয়েছে আলুর দাম।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার ফটকে আলুর দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। তবে হিমাগার মালিক ও পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা বলেন, কৃষকের ঘরের আলু প্রায় শেষ। হিমাগারেও মজুত শেষ পর্যায়ে। তা ছাড়া মৌসুমে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা তাড়াতাড়ি আলু তুলে ফেলেছেন। এজন্য কিছুটা কম হয়েছে ফলন।