পবিত্র ঈদুল ফিতরে৬ দিনের ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মဣরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশꦉন অব বা꧅ংলাদেশ (নোয়াব)।
প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি বছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯-ඣ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকার কথা। তবে ১৩ এপ্রিল এক দিন অফিস করার পর ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে সরকারি ছুটি রয়েছে। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নোয়াব। রোববার (৭ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।
এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (ডিইউজে) সভাপতি সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, “ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পয়লা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পয়লা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, সেই আবেদন আমরা নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণম♚াধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম। আশা করছি, ন🔴োয়াব সংবাদকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবে।”
নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছিলেন, “এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। শনিব🌟ার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
নোয়াবের সভাপতি দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ। এ পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, “সংবাদপত্রে এক সময় কোনো ছুটি ছিল না। ঈদের দিনও পত্রিকা প্রকাশ হতো। স্বাধীনতার পর সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের উদ্যোগে সংবাদপত্রে ছুটির প্রচলন শুরু হয়। তবে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গণমাধ্যমে এখনো ছুটি অনে꧃ক কম।”