• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘মাদক ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই জাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
‘মাদক ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই জাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি : সংগৃহীত

মাদক ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার🎃 খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেছেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। কারণ সেখানে বিভিন্ন সময় মাদক, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে💛 তিনি এসꦇব কথা বলেন।

খন্দকার আল মঈন, “আমরা আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন, সেই সব ব্যক্তিরাও খারাপ হলেও অভিভাবক হিসেবে নিজের সন্তানকেও বিদেশে 💮বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্ত🔜ানরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।”

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, “এই ঘটনার পর ভিকটিমের স্বামী মামলা করলে র‍্যাব মামলার প্রধান দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূল আসামি মামুন শুরুতে গার্মেন্টস পেশায় নিয়োজিত থাকলেও তার মূল ব্যবসা ছিল মাদক। আর সেই ব্যবসার মূল ক্ষেত্র ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। মামুন প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে আসত কক্সবাজা♊র থেকে। এই ইয়াবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করত সে।”

খন্দকার আল মঈন জানান, মামুনের তথ্যনুযায়ী, গ্রেপ্তাররা অনেকদিন থেকেই মাদক ব্যবসা করে আসছেন। ভিকটিমের বাসায় সাবলেট হিসেবে বসবাস করতেন। ভিকটিম ও তার স্বামীর সঙ্গে মামুনের ৩ ব𝕴ছরের অধিক সময় ধরে মাদক ব্যবসার সম্পর্ক রয়েছে। তারা একসঙ্গেই একই বাসায় থাকতেন। ভিকটিমের স্বামী মামুনকে মাদক ব্যবসায় সাহায্য করতেন।”

মঈন বলেন, “প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বার এভাবে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসত𒈔ো মামুম। জুতার ভেতরে ও মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংকে করে প্রতিবার ২ থেকে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা আনতো সে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ২ তারিখেও ২ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা সে নিয়ে আসে ক্যাম্পাসে। কিন্তু বাসায় এতো মাদক রাখা নিরাপদ না ভেবে মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৭ নম্বর হলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে মামুন ভিকটিমের স্বামীকে বলে, ভিকটিমকে মামুনের জামা কাপড় নিয়ে হলে আসতে। তখন ভিকটিম মামুনের জামা কাপড় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন। এরপরেই মামুন ও মোস্তাফিজ ভিকটিমকে নিয়ে কৌশলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্জন এলাকায় ভেতরে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে।”

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, “এরপরে তারা রুমে গিয়ে ভিকটিমের স্বামীকেও ভয়ভীতি দেখায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজে ভিকটিমের স্বামীকে ভিকটিমের সামনে মারধর করতেও দেখা যায়। এরপরই তারা থানায় গিয়ে অভিযﷺোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‍্যাব মামুন ও তার সহযোগী মুরাদকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছ✅ে।”

Link copied!