ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচিতে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর পরিবহন শ্রমিকরা। 🐷যাত্রা ও যাত্রী কমে যাওয়ায় আয় কমে গেছে তাদের। এতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাদের দাবি, অবরোধ-হরতালের কারণে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে আয় নেমে এসেছে অর্ধেকে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিএনপ꧃ি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সপ্তম ধাপের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৮টায় গাবতলী এলাকায় দেখা গেল, রবরব নামের যাত্রীবাহী একটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। একটু পরেই রাজধানীর অভ্যন্তরে চলাচল করবে এই বাস।
কথা হয় বাসটির চালক আনিস মোল্লার সঙ্গে। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “অবরোধ আর হরতালে আয় রোজগারের অবস্থা খুবই করুণ। মানুষ ভয়ে বের হতে চায় না। পাশাপাশি অনেক চালক গাড়িও বের করতে চায় না। দুর্বৃত্তরা গাড়ি🐟তে যাত্রী হয়ে উঠে আগুন দিচ্ছে। আগে রবরব বাস ৫০টা চললেও, এখন চলতেছে ৩০টা।🎶 সারা দিন গাড়ি চালিয়ে মালিককে ঠিকমতো টাকা দিতে পারি না। এর জন্য মালিকের সঙ্গেও কোন্দল বাঁধে।”
শুধু আনিস মোল্লা নন, তার মতো🔯 বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় চোখে পড়ে যান চলাচলের স্বাভাবিক চিত্র। আর বাস টার্মিনালগুলোতে চোখে পড়ে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী।
মোহাম্মদ তুষার নামের ꦕএক হেলপার বলেন, “আমাদের আয় রোজগার তখনই হয়। যখন রাস্তা-ঘাটে মানুষ বেশি থাকে। এখন রাস্তায় তিন ভাগের এক ভাগও যাত্রী নেই। শুধু বিকেলে একটু যাত্রী পাওয়া যায়। আগে আয় করতাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এখন আয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।”
আবুল হোসেন নামের একজন বাসচালক বলেন, “যাত্রী কম থাকায় আমাদের আয় কমেছে। এখন আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেক অশান্তির মধ্যে পড়ে গেছি। আগে গাড়ি সুষ্ঠুভাবে চলতো, আয় করতে পারতাম। বিকেলে দিকে একটু যাত্রী পাই। বিকেলের যাত্রীদের মাধ্যমে যে আয় হয় তা দিয়ে কষ্ট হয় গাড়ি চালাত🅷ে।”
মোহাম্মদ আলামিন নামের এক দূরপাল্লার বাসের চালক বলেন, “মানুষ ভয়ে বের হতে চায় না। তাই বাসের যাত্রী কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আয়ের পরিমাণও কমছে। হরতাল-অবরোধে পরিবহন শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রিপ মেরে আয়🎃 করতাম এক হাজার থেকে বারোশ টাকা। এখন ২০ জন যাত্রী পাওয়া খুবই কঠিন। আর আয়ের পরিমাণ ৫০০ টাকা। পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।”