• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৩ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দ্য উইকের প্রতিবেদন

তরুণ কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
তরুণ কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন আগে সেনাবাহিনীর তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে। ২ আগস্ট এক বৈঠকে তরুণ সেনা কর্মকর্তারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ 🧸প্রকাশ করেন।

൲শনিবার (১৭ আগস্ট) ভারতীয় সামꦯয়িকী দ্য উইকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়। 

দ্য উইকেꩵর প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে সামরিক বাহিনীও ছিল। পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে সেদিন এই বৈঠক ডেকেছিলেন সেনাপ্রধান।

সূত্রটি জানায়, সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষোভ প্রশমনে সেনাপ্রধান এ বিষয়টি তুলে ধরেন যে ꦜযদি অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, তাহলে বাংলাদেশ কেনিয়া বা আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো হয়ে যেতে পারে।

কর্মকর🗹্তাদের সংযত থাকার পরামর্শ দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “আমাদের দেশে ১৯৭০ সালের পর এমন গণবিক্ষোভ আর কখনো হয়নি। তাই এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। ไআমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”

ত🅰রুণ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মধ্য�� দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।

এর ৩ দিন পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা একটি সামরিক হেলি🥃কপ্টারে চড়তে বাধ্য হন, যেটা তাকে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় নিয়ে যায়। সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি১৩০ পরিবহন উড়োজাহাজ অপেক্ষমাণ ছিল, সেটা তাকে (শেখ হাসিনা) দিল্লির ꦉউপকণ্ঠের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যায়।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অবস্থা ছিল অস্বস্তিকর। কারণ, তাকে শেখ হাসিনা নিয়োগ দিয়েছিলেন। তা ছাড়া বৈবাহিক সূত্রে তিনি শেখ হাসিনার আত্মীয়। বিষয়টি সম্ভবত তাকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও সতর্ক করে তুলেছিল। বিশৃঙ্খলার মধ্যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনা মোতায়েনকে যৌক☂্তিক হিসেবে তুলে ধরতে সেনাপ্রধান বলেছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। তারা ১ হাজার ৭১৯টি গুলি ছুড়েছে, ১৪ হাজার ফাঁকা গুলি ছুড়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস জনতার মুখোমুখি হয়ে ৩১টি উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।

মতবিনিময়ে সেনা💖প্রধানের পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে তদন্তের আহ্বান আসে। তরুণ মেজর মো. আলী হাꦿয়দার ভূঁইয়া সেনা মোতায়েনকালে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে, তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে উদ্ধৃত করেন, তিনি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আল্লাহর করুণা ভিক্ষা করেন এবং এতে যুক্ত না হওয়ার কথা বলেন। 

একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তার এই আচরণে꧃র পরꦦিপ্রেক্ষিতে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শুধু বলেন, ‘আমিন’।

নারী কর্মকর্তা মেজর হাজেরা জাহান এই ঘটনায় শিশুদের প্রাণহানি ও এর ন্যায্য বিচার হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের অসন্তোষ বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেনাপ্রধান তার ♈সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির এক কর্মকর্তা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন 🌺(র‌্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কয়েকজন কর্মকর্তার ‘অগ্রহণযোগ্য’ কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। জবাবে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পরিস্থিতি ঠিক হলে এগুলো দেখা হবে।

সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের সমর্থন কমে যাওয়ার কথা তুলে ধরে সেনাসদস্য𝓡দের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন ৫ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব। চট্টগ্রামের আরেক কর্মকর্তা আহত শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করার পরামর্শ দেন।

সব শেষে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যে সামাজিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা তুলে ধরেন এবং নিজের হতাশা প্রকাশে আইয়ুব বাচ্চুর এক💮টি গানের কথা তুলে ধরেন।

Link copied!