বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার মোট সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। এর মধ্যে আট লাখ ঢুকেছে ২০১৭ সালের সেপ্টেম🐈্বর থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে। দেশের ভেতরে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে গত অর্ধ যুগে নান❀ামুখী সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সরকার বলছে, নতুন করে আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ।
তবে বাস্তবতা একেবারেই উল্টো। সম্প্রতি নাফ নদী দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। মিয়ানমারের আরাকানে সামরিক জান্তা এবং বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের তীব্রতা বাড়🐷ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে রোহিঙ🔜্গাদের অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। এ নিয়ে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদনে সরকারি হিসাব উল্লেখ করে বলা হয়েছে,💙 গেল দেড় মাসেই নতুন করে আট হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। যদিও স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি অনুযায়ী, বাস্তবে নত🌳ুন করে দেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গার সংখ্যা সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ।
এদিকে, নাফ নদী দিয়ে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সরকার আশ্রয় না দেয়ায় তারা গো💖পনে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন এবং পূর্বপরিচিতদের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে করে আগে থেকেই গাদাগাদি অবস্থায় থাকা পরিবারগুলো নতুন করে চাপে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দেশে নতুন করে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গারা জানাচ্ꦯছেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে এখনও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা র﷽াতের বেলায় নৌকায় করে নাফ নদী পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে।
মাস খানেক আগে মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে নꦬাফ নদী পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নিয়েছেন জেসমিন নামে এক নারী। সঙ্গে এসেছেন তার স্বামী ও 🐟এক সন্তান।
জেসমিন জানান, আরাকান আর্মির ছোড়া বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর বাংলাদেশে না এসে আর কোনো উপায় ছিলো না তাদের। বোমার স্প্লিন্টার তার ডান পায়ে আঘাত করার পর সেই পা কেটে ফেলতে হয়। তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ক্যাম্পꦐে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হাসপাতোলꦓে।
গেল কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ থাকলেও শেখ হাসিনা সরকার সেটা অগ্রাহ্য করেছে। তবে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও দেশে আর রোহিঙ্গা ঢোকাতে রাজি নয়। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এক সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদౠেশ নতুন করে আসা কোনো রোহিঙ্গা গ্রহণ করবে না।
একদিকে বাংলাদেশ নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক নয়, অন্যদিকে𒁃 নানামুখী চেষ্টার পরও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কোনো উদ্যোগও সফল হয়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমারে সংঘাতের সমাধান দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ না চাইলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। যা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।