হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ ৪ দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা বহাল থাকবে। তাই পরবর্তী আদেশ ন𝕴া হℱওয়া পর্যন্ত হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না।
সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দဣিকীর নেতৃত্বাধীন পাচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (𒆙এএম) আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ইমাম হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভো🏅কেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে, হাইকোর্টের রায়ে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকা জাতীয় সম্পত্তি। এই🐈 এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন ও তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি এবং অবৈধ। আর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এখতিয়ারবহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
এ ছাড়া আদালত হাতিরঝিলের বিষয়ে ৯ দফা পরামর্শ🌜 দেন। সেগুলো হলো-
১. হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ, তথা হাতিরঝিল লেক♌ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সꦦরাসরি অধীন গঠন করা।
২. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থা🌄য়ী পরামর্শক নিয়োগ করা।
৩. জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মা✱নের টয়লেট স্থাপন করা।
৪. নির্ধারিত দূরত্বে বিন🌠ামূল্যে সব জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা।
৫. পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন এবং শারীরিক প্রতিবনꦬ্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা।
৬. পানির জন্য ক্ষতিকর লেকে এমন সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার♉ ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৭. লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা।
৮. হাতিরঝিল-বেগু⛦নবাড়ি প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার 🐼জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা।
৯. হাতিরঝিল ཧও বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ (রাজস্ব) বাজেট থেকে বরাদ্দ করা।