জাতীয় শোক 💃দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ꦿপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত ন💃েওয়া হয়।
এর আগে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হ🙈িসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ক্রিয়াশীল ৩৪টি ছাত্র সংগঠন। ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লিয়াজোঁ কমিটির বღৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ডেইলি স্টার। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সভায় অংশ নেন। ছাত্রলীগ ও ছাত্রস🥀মাজের কোনো প্রতিনিধি ওই সভায় ছিলেন না।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সংহত করতে আগামী এক মাস ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠন আলাদা করে কোনো কর্♒মসূচি দেবে না। আন্দোলনের ব্যানারে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। এ সময় ছাত্রল💙ীগের কোনো নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না।
শোক দিবসের ব্যাপারে বলা হয়, ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উপস্থিত🦄 সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি এস🔜ব সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেছেন।
১৫ আগস্ট শোক দিবস ♏পালন না করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলা হয়, ১৫ আগস্টকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সন্ত্রাসী ও জঙ্ꦬগি কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করতে ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়। নেতৃবৃন্দ জুলাই-আগস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে উল্লেখ করেন।
সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ), বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু),🔜 ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল এবং জুম লিটারেচার সোসাইটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।