বিশেষ পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের ক্ষমতা সরকারকে༺ দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
♓রোববার (১৮🍌 আগস্ট) ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়েছেꦑ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি🌼 এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন। অবিলম্বে এ অধ্যাদেশ কার্যকর হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সনের ৬০ নং আইনে নূতন ধারা ১৩ক এর সন্নিবেশ। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০ নং আইন), অতঃ🍎পর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ১৩ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ১৩ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:- “১৩ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়র ও কাউন্সিলরগণের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা। এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।”
অধ্যাদেশে আরও বলা হয় “২০০৯ সনের ৬০ নং আইনে নূতন ধারা ২৫ক এর সন্নিবেশ। উক্ত আইনের ধারা ২৫ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২৫ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-২৫ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ ও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনে উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব🦂্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।”
প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে অধ্যাদেশটিতে বলা হয়েছে, “(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নিযুক্ত প্রশাসক এবং উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন൩্দ, যদি থাকে, যথাক্রমে, মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।”