২৭ জুলাই রাজ🌺ধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একইদিন মাঠ দখলে রাখতে পাল্টা যৌথ শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিন সহযোগি সংগঠন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট অথবা অন্য কোথাও এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল তিনটার এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পৃথক পৃথক বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে তিন সংগ𒐪ঠনই। মূলত বৃহস্পতিবার বিশাল শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে ‘রাজধানী’ নিজেদের দখলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের তিন সহযোগি সংগঠন। সেই লক্ষ্যে শান্তি সমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে কাজ করছেন নেতারা। সমাবেশে ৫ থেকে ৭ লাখ নেতাকর্মী সমাগমের 💞টার্গেট নিয়ে মাঠে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
এর আগে মঙ্গল✨বার (২৫ জুলাই) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর, পার্শ্ববর্তী জেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও এ-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দি🦂য়েছেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাতে জড়াবে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে। আমরা কোনো সংঘাত চাই না। তবে সংঘাত যারা করবে, তাদের প্রতিহত করব। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভার প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বিএনপ♏ির মহাসমাবেশ ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও সমাবেশ সফল করতে রাজধানীর থানা-ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
এদিকে, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একই দিনে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। দল দুটির দায়িত্বশীল নেতারা এমন আশঙ্কা করায় আরো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জনমনে। এ কারণে বৃহস্পতিবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। খোলা থাকলেও অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের শিꦗক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানো🐭র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় চাকরিরত অনেকেই সেদিন অফিসে না গিয়ে বাসায় অবস্থান করতে পারেন।
এদিকে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো এবং বিদেশিদের কাছে জনসমর্থন দেখানোর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সুযোগ পেꦬলে সরকার পতনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘেরাওয়ের চেষ্টাও করতে পারে। এর মধ্꧑য দিয়ে ঢাকা অচল করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে বিএনপি।
অন্যদিকে, রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে আওয়ামী লীগের তিন স♍হযোগী সংগঠন শান্তি সমাবেশে বিশাল শোডাউনের প্রস্ত🍰ুতি নিয়েছেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ আয়োজনে শান্তি সমাবেশে ৫ থেকে ৭ লাখ নেতাকর্মীর সমাগমের টার্গেট নেওয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
অপরদিকে, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমাবেশে না গিয়ে সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কার্যালয়ের সামনে অবস্থ🅺ান নিতে বলা হয়েছে। ꦦকোথাও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথ🥃া হয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর ꦰসঙ্গে। তিনি বলেন, “২৭জুলাইয়ের শান্তি সমাবেশে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকেই পাঁচ-সাত লাখ নেতাকর্মী আসবেন। এদিন রাজধানী জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু জানান, ঢাকা মহানগরসহ এই বিভাগের ১৭টি জেলা থেকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা🍃 শান্তি সমা🍰বেশে যোগ দেবেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগেরই এক লাখ নেতাকর্মী আসবেন। তিনি বলেন, “বিএনপি ২৭জুলাই রাজধানীতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা করলে পরিনাম ভয়াবহ হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ 𝄹তুলে এই সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। এর আগে এই কর্মসূচির নাম ছিল তারুণ্যের জয়যাত্রা।
শান্তি সমাবেশ নিয়ে যা বলেছে আওয়ামী লীগ:
বিএনপি যত বড় সমাবেশ করতে চাইবে আওয়ামী লীগ তার চেয়ে বড় শোডাউন করবে। শুধু তাই নয়, বিএনপি রাজপথে আন্দোলনের নামে নাশকতা করতে চাইলে তার জবাব দে🍎য়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো।
এ বিষয়ে কথা হয় ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলুর সঙ্গে। তিনি জানান, ২৭ জুলাই বিএনপি যদি ২ লাখ নেতাকর্মী উপস্থিত করে, তাহলে আওয়ামী লীগ ৫ লাখ ন𝔍েতাকর্মীর উপস্থিতি জানান দেবে।
ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, “💎বিরোধী জোট নৈরাজ্য-জঙ্গিবাদ ও গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে নানা ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। কারণ বিগত সাড়ে ১৪ বছরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে সতর্ক থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করে আসছে।”
২৭ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করা প্রসঙ্গে ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সি♔লর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদౠক হাজী আবুল কালাম অনু বলেন, “এখন থেকে আমরা কাউন্টার কর্মসূচিসহ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে থাকব।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক𝔍 আহমেদ হোসেন বলেন, “২৭ জুলাই যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্র লীগ মাঠে থাকবে, এতে ভয়ের কিছু নাই। আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দি𓃲তেই পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, “এদিন কোনো সংঘাতের আশঙ্কা নাই। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ শান্তি সমাবেশ করবে।” এটা সব সময় আওয়ামী লীগ করে আসছে বলে জানান তিনি।
জনভোগান্তি হলে নিষেধাজ্ঞা:
রাজন🅰ৈতিক কর্মসূচির নামে জনগণের ভোগান্তি হলেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আপনারা সমাবেশ করেন, জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে যাবে। আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।”