‘বিডিআর বি𒆙দ্রোহ’ কোনো দাবি আদায়ের নয়, দেশকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রাওয়ꦫা কনভেনশন সেন্টারে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাඣ বলেন।
আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, “তদন্তের বাইরে কোনো দল বা গোষ্ঠীকে রাখা হবে না। এমনকি শে🥂খ হাসিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে হাই কমিশনের ম🍸াধ্যমে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে তার (শেখ হাসিনা) ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের কাজ শেষ করে বাইরের কাজগুলো শুরু করা হবে।”
তদন্ত কমিশনের সভ💎াপতি জানান, তদন্ত করে এমন দৃ👍ষ্টান্ত রেখে যেতে চান, যেন ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা আর না ঘটে।
এর আগে, বিডিআর হত্♕যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার নিশ্চিতে কমিশনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
১৫ বছর আগে রক্তে রঞ্জিত হয় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর। দুই দিনে পিলখানায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয়ে সেখান থেকে বেঁচে ফেরেন ৫৫ জন। এখনো বয়ে বেড়ানো দগদগে ক্ষত ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ হয়ে চোখে-মুখে🍸 ফুটে ওঠ🃏ে তাদের স্মৃতিচারণে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, “চরমভাবে নির্যাতন চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। গলা টিপেও হꦛত্যা করা হয়। সেই মৃত্যু🔜র কাছ থেকে আমরা ফিরে এসেছি।”
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গেল ডিসেম্বরে ৭ সদস্যে♛র স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মতবিনিময় সভায় উঠে আসে নির্মমতার গল্প।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে সারꦚ্বভৌমত্বের ওপর আঘাত দাবি করে শহীদ পরিবারের সন্তানরা বল🦩ছেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হোক প্রকৃত ঘটনা। বিচার হোক দোষীদের।”