রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “বর্তমান দায়িত্ব নেওয়ার আগে ব্যক্তিগত জগৎ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এবং যা করছি তাতে খুশܫি ছিলাম। সেই দিনগুলোতে আমার কাজের চারপাশে কিছু বিতর্ক এবং তর্ক ছিল। তবে আমি সেগুলো নিজের মতো করে পরিচালনা করেছি।”
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরকে দেওয়া সাক্ষাꦇৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
যদি ৫ আগস্ট না আসত, তাহলে আপনি হয়তো জেলে যেতেন। ঠিক কিনা? ♏এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “হ্যাঁ, তাই হতে পারত। আমি সেই সময়ে একটি ভিন্ন দেশে ছিলাম এবং যখন আমি কারফিউর মধ্যে দেশ ছেড়েছিলাম। তখন আমি যা দেখেছিলা❀ম, আমি সেই দিনগুলো নিয়েই ভাবছিলাম।”
আপনি 🎃৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসিনার সরকারের করা আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সংক্রান্ত আদালতের মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। আপনি কি মনে করেন না যে, লোকেদের বিশ্বাস করার কারণ থাকতে পারে যে, আপনার বর্তমান অবস্থান মামলা খালাসের জন্য অবদান রেখেছে?
এমন পඣ্রশ্নে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমি মনে করি, দেশে বা বিদেশে, ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি, যেভাবেই হোক মামলা চলত। কারণ, অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার আইনজীবীরা সফলভাবে আইনগতভাবে আদালতে যেতে পারতেন, আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর কোনো মেরিট নেই। সুতরাং, আমি এখানে (ক্ষমতায়) থাকতাম বা না থাকতাম, আমি অভিযোগ থেকে খালাস পেতাম।”
এর মানে কি এই যে, শাসনব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলেও আদালত আপনার পܫ্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করত? বিগত শাসনামলে আদালতগুলো সরকারের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল এবং এখনও আছে। তারপরও আপনি বিশ্বাস করেন, পুরোনো শাসন অব্যাহত থাকলে আপনি খালাস পেতেন?
এমন প্র🌳শ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “না, সেদিন তারা আমাকে খালাস দেয়নি। তারা ক্ষমতায় থাকলে অবশ্যই আমাকে জেলে পাঠানো হতো। যতবারই আমি আদালতে গিয়েছি, ভেবেছি আজকে কারাগারে ঢুকব এবং সংশ্লিষ্ট মামলার আরও কয়েকজন আসামিসহ আমি তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। আমি এটা সহজে নিয়েছিলাম এবং এটাকে একটা মোটামুটি কাজ বলে মনে🐓 করি। এখন যেহেতু ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ীরা ন্যায়বিচারের পক্ষে, আমি আমার অবস্থান বা অবস্থান নির্বিশেষে খালাস পাব, এটাই স্বাভাবিক।”