দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বল🍎ে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে সরকার।”
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে চেঞ্জ ইౠনিশিয়েটিভের আয়োজনে দ্বিতীয় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলাশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে ন🗹িচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন ক🀅রার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।”
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “সরকার গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত কর👍ছে।”
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে আমরা বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছ🎃ি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের বিদ্যুতের ৪০ 🐬শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্যটি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস এবং জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। দেশཧীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সঙ্ꦐগে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না; বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস𝕴্বাস্থ্যে🉐র উন্নতি এবং জীবনমান উন্নত করে।”
অনুষ্ঠানে জ্বালানিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কার প😼্রদান করা হয়।