• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দেশে ফেসবুক বন্ধে পথে বসছেন উদ্যোক্তারা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
দেশে ফেসবুক বন্ধে পথে বসছেন উদ্যোক্তারা
এফ-কমার্স। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলন ঘি༺রে দেশে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেটসহ মূল সামাজিকমাধ্যমে সংযোগ ফিরে এসেছে। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে ফেসবুক পরিষেবা। ফলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকভিত্তিক অর্থনীতি তথা ফেসবুক কমার্স (এফ-কমার্স) খাতের কার্যক্রম প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে থমকে গেছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের। এ বিষয়ে প্রতিꦏবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন গণমাধ্যম টিবিসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা দুই থেকে আড়াই লাখ ফেসবুক পেইজ পরিচালনা করছেন। যার মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি পেইজে নꦗিয়মিত পণ্যের অর্ডার বা বেচা কেনা হয়ে থাকে। যদিও অনলাইন কমার্স ইকোসিস্টেম পার্টনারদের হিসাবে, সক্রিয় ফেসবুক বিক্রেতাদের সংখ্যা আরও বেশি। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর হিসাব বলছে, ফেসবুকে ৫ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির নিজস্ব ব্যবসায়িক পেজ রয়েছে।

ই-কমার্সখাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এফ-কমার্স উদ্যোক্ত✱াদের প্রায় সবাই তরুণ, শিক্ষিত ও প্রযুক্তি-সচেতন। খাদ্য বা মুদি সরবরাহ, রাইড শেয়ারিং এর মতো দ্রুত বাণিজ্যের খাত থেকে তাদের টার্নওভার বা মোট বিক্রির পরিমাণ সামগ্রিকভাবে ৬৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার ই-কমার্স বিক্রয়ের মধ্যে এফ-কমার্সের অবদান ৮০ শতাংশের মতো।

দেশে দ্রুত সম্প্রসারౠণশীল এই সামাজিক মাধ্যমের বাণিজ্য খাত টানা দশদিন ধরে থমকে গিয়েছিল। সব ধরনের লেনদেন বা কেনাবেচা বন্ধ ছিল। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে গত ২৮ জুলাই দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করা হলেও এফ-কমার্স খাতে কোনো সুখবর নেই।

ফেসবুক পরিষেবা চালু না হওয়ায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন ফেসবুকনির্ভর হ𒀰াজার হাজার উদ্যোক্তা। পণ্য ও পরিষেবার জন্য সম্পূর্ণভাবে ফেসবুকের ওপর নির্ভরতার কারণে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায়𝔉 তরুণদের বিশাল অংশ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন।

বিডি জবস, আজকেরডিল এবং ডেলিভারি টাইগার্স-এর প্রতিষ্ঠাতা একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, সামাজিক মাধ্যমের দুই আড়াই লাখ বিক্রেতার মধ্যে বেশিরভাগই প্রতি সপ্তাহে কম বা বেশি আয় করেন। তার বিশ্বাস, সক্রিয় এফ-কমার্স বিক্রেতারা তাদের কর্মকাণ্ড ও ডে🍬লিভারি পরিচালনার জন্য ১০ লাখের বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

পোশাক পণ্যের এফ-কমার্স ব্যবসা পরিচ💧ালনা করা ঢাকার এক তরুণ বললেন, “গত ১৮ জুলাই থেকে ফেসবুক বন্ধ হওয়ার আগে দিনে আয় করতাম ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু দশদিনে ফেসবুক-এর ভার্চুয়াল শপ বাংলাদেশ থেকে সবার কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য না হওয়ায় আয় শূন্যে নেমে এসেছে। অথচ আমার এক কর্মচারীকে প্রতিদিন বসিয়ে রেখে 🌊বেতন দিতে হচ্ছে।”

অনলাইনে গহনা বিক্রি করা মিরপুরের এক গৃহবধূ বলেন, “ফেসবুক আমার আয়ের উৎস হয়🅺ে উঠেছে। পণ্যের প্রচারের জন্য লাইভ গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে অনেক সহায়ক। দারাজের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আমার সেলস রেভিনিউয়ের ওপর দুই অঙ্ক💮ের কমিশন নেয়।”

এমন তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসায়ীদের মতো লাখ লাখ উদ্যোক্তা পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। তারা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছেন কবে চালু হবে ফেসবুক, কবে আবার তার ফিরতে পারবেন ব্যবসায়ে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর সাবেক সভাপতি ♚মাশরুর বলেন, বিক্রি এভাবে কমতে থাকলে ছোট ব্যবসা দুর্বল হয়ে পড়বে। ক্ষত🐻িগ্রস্ত উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মেটা এবং টিকটক কর্তৃপক্ষকে ৩১ জুলাই টেলিকম নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। তারা যদি উসকানিমূলক ও ভুল তথ্য সম্বলিত বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনের প্রতি সম্মানশীল থাকে তবেই তাদের পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। মন্ত্রীর এমন ঘোষণ🌳া উদ্যোক্তাদের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!