বিদেশি প্রভুদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, “বিএনপি এখন চাচ্ছে লাশের রাজনীতি করতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব🐼ানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে।”
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাꦆলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগেরꦐ উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রার নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্🐟ষোভ মিছিল করে যুবলীগ।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “তারেক জিয়া চা🌼চ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লণ্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা তার বিরুদ্ধে চলছে। তিনি জানেন, সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবেন না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছেন।”
পরশ বলেন, “আমি তাদের বলতে চাই, নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। বিএনপির পদযাত্রায় কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই। কারণ তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের ওপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছেඣ এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিক বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে। আসলে কিছু কিশোর গ্যাং এবং শিবিরের কর্মী দিয়ে তাদের মিছিল-মিটিং গরম করবে আর কতদিন?”
বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা🐟 নাই জানিয়ে পরশ বলেন,“তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনꦫগণের ভোট পাইলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না।”
তিনি বলেন, “আমি আহ্বান করতে চাই- আপনাদের কাছে এবং একই সঙ্গে বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরকেও চ্যালেঞ্জ করতে চাই যে, অনুগ্রহ করে ২০০১ সালে তাদের নির্বাচꦆনী ইশতিহার বের করে দেখান কয়টা ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেছিলেন। তাহলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে যে তারা প্রতারণার রাজনীতি করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের রাজনীতি করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার প্রশ্ন🦄🧜ে শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করব।”
প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠ♋নের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ।
এছাড়া ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত স🌟ভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনღ উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।