গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য সামিয়া। তিনি জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ নিয়ে পরিবারের সম্মতি আগেই নিয়ে রাখেন। সে অনুযায়ীই সবকিছু হবে♊। তার মরদেহ এখন বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলার♔ মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন। অনেক যোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ওষুধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা 🃏রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্ক꧋ারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
কিডনি সমস্যার পꦐাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে গত সোমবারই লাইফ সাপ𓆏োর্টে নেওয়া হয়েছিল ডা. জাফরুল্লাহকে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।